বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
হাকীম মিজানুর রহমান

দেশ-বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি। কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না। এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

বাংলাদেশের মতোই সারাবিশ্বে শ্বেতী- বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। অনেকেই ভ্রƒ কুঞ্চিত করেন ভাবনায়, ছোঁয়াচে নয়তো! একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার এই অভিব্যক্তি দেখে শ্বেতী রোগীর মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়? কেউ হয়তো অপমানিতবোধ করেন, কেউ বা পান কষ্ট! তাই শ্বেতী রোগীকে অনাদর, অবহেলা-অবজ্ঞা নয়। এর চিকিৎসা হতে হবে ধাপে ধাপে ধৈর্য সহকারে। কারণ একদিন বা এক মাসেই এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সহজ নয়। এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে ইউনানী ভেষজ চিকিৎসা। ইউনানী ও ভেষজ চিকিৎসায় এ পর্যন্ত পার্শ্বে উল্লেখিত শিশুটি ছাড়াও কয়েক হাজার শ্বেতী রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছেন।

যেহেতু শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ধাপে ধাপে করতে হয় তাই এটি অনেক সময়সাপেক্ষ। ৬ মাস থেকে ১৮ মাস এমনকি এক দুই বছর ধরে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতে চিকিৎসা চালাতে পারলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।

এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে।

শ্বেতী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

প্রয়োজনে রোগীর বয়স, রোগের সময়কাল, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। সেক্ষেত্রে এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় Recap ক্রিম, Vitiligo Natural, Vitiligo Natural Harbs, Vitiligo Removerসহ চিকিৎসকের নির্দেশনামতে আরো কিছু ঔষধ কয়েক মাস এমনকি প্রয়োজনে কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে সেবন করতে হয়। এ চিকিৎসায় ধীরে ধীরে শ্বেতী থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব এবং সারাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।

এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় এ চিকিৎসা গ্রহণ করলে শরীরে মেলানিন উৎপন্য হতে শুরু করে এবং আক্রান্ত স্থান ক্রমে কমে শরীরের অন্যান্য স্থানের মতোই সুন্দর হয়ে উঠে এবং শ্বেতী রোগের পরিসমাপ্তি ঘটে। সেই সাথে ভবিষ্যতে আবার যাতে শ্বেতী আক্রান্ত না হতে হয় সেজন্য ডাক্তারের নির্দেশমতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। ফলে পরবর্তীতে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আর থাকে না। যাদের শ্বেতী রোগ আছে তারা এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনএ এটা একটা ভাল মানের চিকিৎসা সেবা।

কারো কারো শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভালো হতে একটু সময় লাগে। কারো কারো এক বছর বা দেড়-দুই বছরও সময় লাগে। কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়। তবে শ্বেতীরোগের পরিমাণের উপর সময় কম বা বেশি লাগে। তাই নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন।

প্রাথমিক পর্যায় হলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত জবপধঢ় নামের ঔষধ ব্যবহারে এর সফল চিকিৎসা আছে। সেই সাথে Vitiligo Natural ব্যবহার করতে হবে। এটি শ্বেতী রোগের মহৌষধ। এছাড়া আরো কিছু ঔষধ রয়েছে, যা পরবর্তীতে অবস্থা ভেদে প্রদান করা হয়।

রোগের বয়স দীর্ঘ বা ক্রনিক হলে দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগী দুজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। কারণ শ্বেতী একটি জটিল রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। যাদের এ রোগটি শুরুর সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা যায় অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগ করা যায় এবং নিম্নে বর্ণিত খাবার বিধি-নিষেধের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। তাদের এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়।

আর এ রোগটি দু-তিন বছর যারা লালনপালন করছেন। খাবার-দাবার বিধি-নিষেধমতো গ্রহণ করছেন না, ঔষধ প্রয়োগ করছেন না তাদের সুস্থ হতে তিন, চার বা ছয়মাস এমনকি দু-এক বছর সময় লাগতে পারে। তবে ঔষধ প্রয়োগের বিষয়ে ধৈর্য হারাবেন না। ঔষধ ব্যবহার করতে হবে এবং খাবার-দাবারের বিষয়ে নিম্নে বর্ণিত বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলতে দ্রুত এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।

করণীয়

* কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে।

* দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি খাবেন।

* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।

চিকিৎসা

ছোট আকৃতির শ্বেতী মলম বা ওষুধে সেরে যেতে পারে। Recap ক্রিম বা Vitiligo Powder অথবা রোগীর রোগ অনুসারে Vitiligo Remover স্প্রে ব্যবহার এবং Tab. Vitiligo Natural ওষুধ সেবনের পাশাপাশি নিম্নে বর্ণিত চিকিৎসক নির্দেশিত অন্যান্য ঔষধ প্রতিনিয়ত মালিশ করতে হবে শ্বেতী-আক্রান্ত স্থানে।

বড় আকারের শ্বেতী হলে Recape মলম আর Tab. Vitiligo Natural ও Vitiligo Remover ওষুধে কাজ হতে প্রায় ৬ মাস এমনকি ১৮ মাস থেকে ২ বছরও লাগতে পারে। সেটা নির্ভর করে রোগের ব্যাপকতার উপরে।

লক্ষ্য করুন

* যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিৎসা করা যায় তত ভালো।

* শরীরের যেকোনো জায়গায় সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

* ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড এসব যাদের আছে তাদের শ্বেতী হবার প্রবণতা বেশি থাকে। সুতরাং এ রোগ হবার সাথে সাথেই চিকিৎসা করা উত্তম।

হাকীম মিজানুর রহমান : বিএসএস, ডিইউএমএস। চেম্বার : ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

মোবাইল ফোন : ০১৭৬২২৪০৬৫০

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়