বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ০০:০০

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
অনলাইন ডেস্ক

যাঁরা মাতৃত্ব ধারণের বয়স-শ্রেণিতে আছেন অর্থাৎ যাঁদের বয়স পনের হতে চুয়াল্লিশ বছরের, সে রকম নারীদের এক বিশেষ রোগ-সমষ্টিকে এক কথায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বলে। পলি মানে অনেক আর সিস্ট মানে ভেতরে জলীয় অংশ ধারণকারী মটরের দানার মতো গঠন বিশেষ। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত সন্তান ধারণকারী বয়স-সীমার নারীদের ডিম্বাশয়ের চারদিকে অন্যূন দশটা বা তার অধিক সিস্ট মুক্তোর মালার মতো জড়িয়ে থাকে। এতে নারীদেহে পুরুষ হরমোন তথা অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। সারাবিশ্বে শতকরা ২.২% ভাগ হতে ২৬.৭% ভাগ নারীরা এই রোগের শিকার হয় এবং শতকরা ৭০% ভাগ নারী এ রোগে আক্রান্ত হলেও তা অনির্ণীত থাকে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের চারিত্র

* রক্তে অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন বা অ্যান্ড্রোজেন বা টেস্টোস্টেরন

* মাসিক ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়া

* ডিম্বাশয়ে সিস্ট বা ক্ষুদ্র রসথলি।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নারীদের দেহে বেশকিছু পরিবর্তন ঘটে। যেমন :

* ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক বৃদ্ধি পাওয়া

* গলার স্বর মোটা হয়ে যাওয়া

* মুখে ব্রণ ওঠা

* মাথার চুল পড়ে যাওয়া

* দেহের বিশেষ ও বিভিন্ন অংশে পুরুষের মতো লোম জাগ্রত হওয়া

* মাসিক ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়া

* সন্তান ধারণে অক্ষমতা তৈরি হওয়া

* রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।

* রক্তে ইনসুলিনের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও ফলশ্রুতিতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া

* রক্তে কোলেস্টেরলের উচ্চমানের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া

* ইনফ্ল্যামেশন বা বিভিন্ন অঙ্গের প্রদাহ তৈরি হয়। এই প্রদাহ শরীরে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।

রোগ নির্ণয়

* রোগী হতে রোগের বিবরণ ও ইতিহাস অবগত হওয়া। এদের বছরে আটবারের বেশি মাসিক ঋতুস্রাব হয় না।

* রোগীর ওজন পরিমাপ

* ওভারি ও জরায়ুর আল্ট্রাসনোগ্রাম

* রক্তে ডায়াবেটিস পরিমাপ

* রক্তে অ্যান্ড্রোজেন বা টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা পরিমাপ

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের ঝুঁকি

* বন্ধ্যাত্ব

* অবেসিটি

* হার্সুইটিজম

* হার্ট ডিজিজ

* মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন

* ডায়াবেটিস

* মুখমণ্ডলে ব্রণ

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হতে পরিত্রাণের উপায়

* নিয়মিত শরীর চর্চা

* দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ

* খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনয়ন

* নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবনের মাধ্যমে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

যেসব খাবার গ্রহণযোগ্য

* উচ্চমাত্রার আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ যেমন : ব্রকলি, ফুলকপি

* মাছ

* প্রদাহ বিরোধী মশলা জাতীয় খাদ্য ও স্বাদকারক সেবন না করা।

* টমেটো

* কাঁচা ও লাল মরিচ

* সীম

* চীনা বাদাম

* শুকনো মরিচ ও কাঁচা মরিচ

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ব্যবহৃত ঔষধ

* ওজন কমাতে মেটফরমিন

* মাসিক ঋতুস্রাব নিয়মিত রাখতে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন

* ডিম্বস্ফোটন ত্বরান্বিত করতে ক্লমিফিন সাইট্রেট ব্যবহার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়