বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় ওসির অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
  •   ভারত-মিয়ানমার থেকে ৮৯৮ কোটি টাকার চাল কিনবে সরকার
  •   মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ ও কীটনাশক পাওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
  •   মশার উপদ্রবে চাঁদপুর পৌরবাসী ॥ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
  •   শাহরাস্তিতে সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার

তথ্যপ্রযুক্তি কণ্ঠ ডেস্ক ॥
যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার

দেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। এটা যক্ষ্মা রোগীদের জন্যে একটা সুখবর এবং বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে একধাপ এগুবে বলে আমাদের আশা।

আগামী বছর থেকে দেশের তিনটি জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হচ্ছে। শুরুতে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় জেলায় এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

গত ২৫ মার্চ রাজধানীর কাওরানবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। ‘টিবি (যক্ষ্মা)-সিআরজি বিষয়ে কর্মণ্ডপরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এবং আইএসিআইবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো শতভাগ সফলতা পেয়েছে। আমাদের উপমহাদেশেও এখন যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করার পাইলটিং চলছে। আমাদের দেশেও আগামী বছর থেকে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় এই তিনটি জেলায় যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্যে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, চলমান পদ্ধতিতে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত সঠিক না হওয়ায় বহু রোগী রোগটি নিয়ে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করছেন। এতে তারা শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। অন্যদের মাঝে রোগটি ছড়ান।

তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে যক্ষ্মা রোগীদের জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের ওষুধ সেবনের কোর্স সময় কমিয়ে স্বল্প সময়ের ওষুধ আনা হচ্ছে। তাতে দুই মাস এবং এক মাসের কোর্স থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

যক্ষ্মা রোগ বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, দেশে ৫১ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী খুব উচ্চ পরিবহন খরচের কারণে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ নিতে কেন্দ্রে আসেন না। এ জন্য রোগীদের কাছাকাছি যদি ফার্মেসিতে ওষুধ রাখা যায়, তাহলে তারা সহজেই ওষুধ নেবেন। ওষুধ সেবন করে তারা সুস্থ হবেন। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়