প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হলো প্রযুক্তিবিদ্যার এমন একটি শাখা যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক উপায়ে তথ্য সংযোগ, সংগ্রহ, গঠন, প্রচার, বিতরণ ও বদলানো যায়। আইসিটি-র এই বৃহৎ সংসারের মধ্যে যেসব বিষয় থাকে তা হলো রেডিও, টেলিভিশন, ভিডিও, ডিভিডি, টেলিফোন (সাধারণ ও মোবাইল দু-ধরনের) বেতার ব্যবস্থা, কম্পিউটার-এর নেটওয়ার্ক, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এবং এই প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত আরও কাজ ও পদ্ধতি যেমন ভিডিও-কনফারেন্সিং, ই-মেল ও ব্লগস। সহজভাবে বলা যায় ওঈঞ হচ্ছে কোনো কিছুর মাধ্যমে তথ্যের উৎপত্তি, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণ।
‘তথ্য যুগে’ শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ করতে হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আধুনিক কাঠামোকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা দরকার। এই কাজ সঠিকভাবে করার জন্য শিক্ষার পরিকল্পনাকারীরা, অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং প্রযুক্তিবিদদের নানা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন, কারিগরি ক্ষেত্র, প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র, আর্থিক ক্ষেত্র, শিক্ষণপ্রণালী ক্ষেত্র এবং পরিকাঠামোগত ক্ষেত্র। অনেকের কাছে এটা একটা জটিল কাজ, শুধুমাত্র একটা নতুন ভাষা শেখা নয়, কীভাবে নতুন ভাষা শেখানো হবে সেটাও।
এই বিভাগে সব ক’টি প্রযুক্তির দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে। ক্লাসে ছাত্ররা যে যন্ত্র নিয়ে কাজ করছে তা থেকে শুরু করে যোগাযোগ উপগ্রহ পর্যন্ত। এর উদ্দেশ্য হলে যারা শেখাচ্ছেন, যারা নীতি নির্ধারণ করছেন, যারা পরিকল্পনা করছেন, যারা পাঠক্রম তৈরি করছেন এবং অন্যরা যারা প্রায়শই আইসিটির যন্ত্র, পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনার জটিল পথের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারা যাতে সহজে এগিয়ে যেতে পারেন সে ব্যাপারে সাহায্য করা।
আইসিটি কী?
তথ্য প্রযুক্তিতে বর্তমানে যেসব মৌলিক হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলো : ১.কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, ২.কম্পিউটিং, ৩. রেডিও, টেলিভিশন, ফ্যাক্স, ৪. অডিও ভিডিও ৫. স্যাটেলাইট ৬. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ৭. আধুনিক টেলিযোগাযোগ ৯. মডেম ইত্যাদি।