প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
জনাব
জাতীয় কল্যাণ প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হইয়া জাতীয় আদর্শের অনুসন্ধানীগণ যে আদর্শের আবিষ্কার করেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাহার প্রতিফলন ঘটে। তদনুরূপ কচি-কাঁচাদের নৈতিক, মানসিক ও শারীরিক উন্নতি বিকাশের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত নাগরিক হিসেবে গড়িয়া তুলিবার জন্য বিশিষ্ট সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের সমবেত প্রচেষ্টায় কয়েক বৎসর পূর্বে ঢাকাতে ‘কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরাও তাহাদের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হইয়া উহাদেরই শাখা মেলা ‘মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলার’ গঠনে প্রয়াস পাইয়াছি। আমাদের মেলার নাম ‘সূর্যমুখী’। কারণ সূর্যমুখী ফুলের দৃষ্টি আলোর দিকে। তাই, অন্ধকার হইতে আলোর দিকে ধাবিত হওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
শৈশব হইতেছে মানুষের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় সে যেইভাবে গড়িয়া উঠিবে, পরবর্তীকালে তাহারই প্রতিফলন ঘটিবে। প্রতীচ্য পণ্ডিত ‘জন লক’-এর ভাষায় বলা যাইতে পারে- ‘মানব মন একটি সাদা কাগজের মত, তাহাতে যে প্রকার সংস্কারের রেখা পড়িবে, মনও তৎপ্রকার গুণসম্পন্ন হইবে’। তাই শিক্ষা, সংস্কৃতির প্রসার ও প্রচার, বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন, শরীরচর্চা, মনীষীদের জন্মবার্ষিকী পালন, স্মরণীয় দিবস উদযাপন, সাময়িকী প্রকাশনা, পাঠাগার স্থাপন ও সমাজসেবা প্রভৃতির মাধ্যমে কচি-কাঁচাদের সর্বাত্মক উৎকর্ষতার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করিয়াছি।
তাই এখন সম্মানার্হ শিক্ষিত সম্প্রদায় এই সমস্ত বিষয়ের গুরুত্ব সুসমাহিত চিত্তে বিবেচনা করিয়া এবং তদনুরূপে উদ্যোগী হইয়া আমাদের এই প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়িত করিবার জন্য বলিষ্ঠভাবে আত্মনিয়োগ করিয়া দেশের একটি প্রকৃত কল্যাণ সাধন করিবেন বলিয়া আমরা আশা করি।
তারিখ : ১৫/১১/১৯৬৮খ্রিঃ
আব্দুর রহিম, আহবায়ক
খোরশেদ আলম, যুগ্ম আহবায়ক
মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা
আজ থেকে ৫৫ বছর আগে মেলার প্রতিষ্ঠালগ্নে যে প্রচারপত্রটি বিতরণ করা হয়, তা সবিশেষ গুরুত্ব বহন করায় এখানে প্রকাশ করা হলো।