প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
ভেঙে-চুরে তোমাকে গড়ি বার বার
সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়
হিমালয় থেকে মিসিসিপি
লোকালয় থেকে নিরেট রাস্তায়।
আনন্দে কিংবা কষ্টে
তুমি আছো নিরবে
দু ফোঁটা নোনা জলে
না পাবার কষ্টে
পাবার আকাক্সক্ষায়
এ জীবন থেকে অন্য এক জীবনে
তুমি আছো নিরবে
বুকের জমিনে
বুকের পাঁজরে।
তিলে তিলে গড়া বালুকাবেলায়
স্মৃতিময় মেঠোপথে হরিয়ান বিলে
কাকচক্ষু জলে আঁকি তোমার কায়া
আজও বশিয়ার খালে
অলস বিকেলে
কোষা নায়ে সুর তুলে চেয়ে থাকি
বিকেলের মিষ্টি রোদে
আলো আর আঁধারিতে
তোমার ঢেউ খেলানো চুলে;
দক্ষিণা বাতাস ছুঁয়ে যায় তখন
মধ্য দুপুরে, টিনের চালে ছন্দ তোলা
বৈরাগী শীতের মতো।
তোমাকে গড়ে-গড়ে ভাঙি প্রতিদিন
আজও ভাঙি-ভাঙি অবিরত
এ ক্ষণজন্মা জীবনে
তোমার আঙ্গুলের ভাঁজে লুকোনো স্বপ্ন
সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় আমার
অনূঢ়া খাঁ খাঁ বিরান বুকে
বিরামহীন ডেকে যাওয়া চখাইয়ের মতো
এ ডাল ও ডাল খুঁজে
পায় নাকো এক ফোঁটা তোমাকে;
চোখের জল শুকিয়ে মরু সাহারা!
জলহীন আঁখি, প্রাণহীন দেহ!
নিরুত্তাপ জীবন, এ এলেবেলে রাস্তায়
এঁকে চলি আজও তোমার অবয়ব।
ভেঙে-চুরে আর কত গড়ি তোমায়
আর কতো!