প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
একটা মেয়ে, সাধারণ চলাফেরা, হাজারো চাপের ভিড়ে আজ হাসতেই ভুলে গেছে। অথচ কোনো এক সময় হাসতে হাসতে মেয়েটি মাটিতে গড়াগড়ি খেতো। যাক সে সব কথা। মেয়েটির চলাফেরায় সাধারণ হলেও মনের দিক থেকে অসাধারণ। মনে তার প্রচণ্ড জোর। মেয়েটা নিজেকে সৎ, সাহসী পরিচয় দিতেই পছন্দ করতো। কিছুটা প্রতিবাদীও বটে। কিন্তু বেশ কিছু সময় আগে প্রতিবাদী হতে গিয়ে ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা থেকে কয়েক রাত নির্ঘুম কাটাতে হয়েছিলো তাকে। তাই সে এখন আর আগের মতো অন্যায় দেখলেও প্রতিবাদ করতে যায় না।
কি মনে হচ্ছে! মেয়েটা ভয় পেয়েছে? না, ভয় পায়নি। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছে, সে ভালো করে লেখাপড়া করে একদিন চাকুরি করবে। তখন সে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবে। তখন সে সমাজের, নাগরিকদের সেবা করতে পারবে। এই ভাবেই সে একদিন জনগণের পাশে দাঁড়াবে। তাই সে সেভাবেই এগুতে শুরু করলো।
অবশেষে কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় দিয়ে সে একদিন তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করলো। কারণ বুকে যে দেশের প্রতি পরম ভালোবাসা ধারণ করে আসছিলো। শুরু করলো তার পরম আকাক্সক্ষার মুহূর্তগুলোর জন্যে কাজ করা। সময় মতো অফিসে আসা, কর্মচারী থেকে শুরু করে জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার করা, দায়িত্বে অবহেলা না করা, ঘুষ না খাওয়া, মানুষের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া সবই পালন করে আসছিলো যথাযথভাবে। তাই খুব কম সময়েই সেই মেয়েটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিলো। চারদিকে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লো। কিন্তু মেয়েটি মুচকি হাসি দিয়ে শুধু মনে মনে ভাবলো ‘আমি তো আপনাদের সেবা দেয়ার জন্যেই বেতন পাই, আপনাদের সেবা দেয়ার জন্যেই সরকার আমাকে নিয়োগ করেছে, আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। আর ঘুষ কেনো খাবো! সরকার তো আমাকে আমার কাজের জন্যে বেতন দিচ্ছে’।
প্রতিবাদী সে মেয়েটি আমি, আপনি, আমরা সবাই হতে পারি। কিভাবে? নিজ নিজ জায়গায় নিজের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে।
* পাঠক ফোরাম বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা