প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
হৃদয়ের সুঘ্রাণ

তোমার সাথে দেখা নেই প্রায় এক কোটি বছর,
আরও কয়েক কোটি কোটি বছর দেখা হবে না আমাদের
কিন্তু, তোমার হৃদয়ের সুঘ্রাণে আচ্ছাদিত আমি।
গতবার যখন শেষ দেখা হলো,
তুমি তাকিয়েছিলে খ্রিস্টালের বয়মটির দিকে,
জিজ্ঞেস করেছিলে, ‘ওটা কী?’
জবাব দিইনি আমি সেদিন।
আজ শুনো...
তোমার হৃদয়ের সুঘ্রাণ জমিয়েছিলাম ওই শখের বয়মে,
এখন মাঝে মাঝে শোকেস থেকে সেটি বের করি,
আলতু নরম রোদে রোদ পোহাতে দিই,
উষ্ণ সেই সুঘ্রাণ আমার স্পর্শে আহ্লাদিত হয়,
আমার হৃদয়ের সাথে মিলাই তোমার হৃদয়ের সুঘ্রাণ।
দেবতার চোখের মতো তোমার দুটি চোখে চোখ রেখেছিলাম সেদিন,
চোখ রেখেছিলাম আমি তোমার হৃদয়ে,
তোমার হৃদয় থেকে দুটি হরিয়াল এসে বসেছিলো সেদিন,
এই হৃদয়ে জন্ম দিয়েছে দুটি পাহাড়,
পাহাড় থেকে অবিরাম ঝর্ণা ঝরে,
ঝর্ণার জলে থৈ থৈ করে জলাধার,
তুমি নেই, কোথাও নেই,
আরও কয়েক কোটি বছর দেখা হবে না আমাদের।
কারণে অকারণে পাই তোমার হৃদয়ের সুঘ্রাণ,
স্পর্শ করে আমার দেহ, মগজ ও মন,
রক্তের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিয়ে যায় ঈশ্বরের বাড়ি,
বাড়ির পাশেই ঝর্ণাধারা, অবিরাম ঝরছে,
তোমার দেহের নির্যাস জমে আছে আমার দেহে,
কিন্তু তুমি নেই, কোথাও নেই,
আরও কয়েক কোটি বছর দেখা হবে না আমাদের,
কিন্তু, তোমার হৃদয়ের সুঘ্রাণে আচ্ছাদিত আমি।