প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দিন যায় স্মৃতি থাকে
দিন যায় কথা থাকে, কিছু মানুষের স্মৃতি মনে দোলে
কিছু মানুষ যায় চলে, তার স্মৃতি যায় থেকে মনের গহীনে। তেমনই একজন ভালো মনের মানুষ রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের শুভাকাঙ্ক্ষী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রিয়াদ কমিউনিটির সকলের প্রিয় মানুষ রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস উইং)-এর জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম স্যার।
তার হাতে শুভাকাঙ্ক্ষী সম্মাননা স্মারক তুলে দেন রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ও নাট্যকার রোটারিয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুল ইসলাম পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম চাঁদপুর জেলার কৃতী সন্তান। তিনি সৌদি আরবের প্রেস উংয়ের প্রথম সচিব হিসাবেই যোগদান করেন। এটাও ইতিহাস। দীর্ঘ ৬ বছর নানা গল্প কথায় কেটেছে সময়। রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটার সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ স্যার এবং ফখরুল ইসলামের আন্তরিক সহযোগিতায় ৫টি নাটকের পাবলিক শো দূতাবাস অডিটোরিয়াম মঞ্চে করতে পেরেছি। রিয়াদ বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে আমার নিজের কাছেই ভালো লেগেছে পুরো থিয়েটার গ্রুপ নিয়ে কাজ করতে পেরেছি।
এ কাজে আরও যাদের সহযোগিতা পেয়েছিলাম রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক মিশন উপ-প্রধান ডক্টর নজরুল ইসলাম, সাবেক কার্যালয় প্রধান ডক্টর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ইকোনমিক মিনিস্টার ডক্টর আবুল হাসান, সাবেক শ্রম কাউন্সেলর সারোয়ার আলমসহ অনেকের। যাদের কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না।
আল্লাহর দুনিয়ায় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন কিন্তু সবাই তা ধরে রাখতে পারেন না। সবাই মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতেও পারে না। আজ রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসে গেলেই হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো স্মৃতি কেঁদে মরে। নিজের মনেও সেই অতীত স্মৃতি খুঁজে বেড়ায়। সেসব মানুষের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। ক্ষণিকের জীবনে আমরা সবাই দুদিনের মুসাফির মাত্র। তবুও ভালো কিছু প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
ফখরুল ইসলামের স্মৃতিকথা
দেশ থেকে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রবাসে নতুন যখন এলেন তখন প্রথম দেখা আমার সাথেই হয়েছিলো রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস চত্বরে। ভাগ্যের কী খেলা ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তিনি চলে যাবেন শুনে দেখা করতে গেলাম, সেখানে গিয়ে দেখি উনার জায়গায় নতুন প্রেস দ্বিতীয় সচিব হিসাবে যিনি এলেন জনাব আসাদুজ্জামান তার সাথেও প্রথম দেখা আমার সাথেই হয়েছে একজন সংবাদকর্মী এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসাবে। জনাব আসাদুজ্জামান মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখা উপজেলার সন্তান বলে জানলাম। উনার জন্য শুভ কামনা। আশা করছি অতীতের প্রেস প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের মতই নতুন প্রেস দ্বিতীয় সচিবের হাত ধরে প্রবাসের সকল সংবাদকর্মীকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনি। জয় হোক আগামীর। সবাই ফখরুল ইসলাম হতে পারবে কি না জানি না, দুনিয়ায় একই নামের মেলা মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে নামের সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। সবাই ফখরুল ইসলাম হতে পারবে না। অবশেষে ক্ষুদ্র লেখার মধ্য দিয়ে অন্যদের মনে রাখার চেষ্টা করছি। রিয়াদের প্রয়াত সাংবাদিক অহিদুল ইসলাম ভাই আজ নেই দুনিয়ায়, তবে তার কিছু স্মৃতিকথা রয়ে গেছে দেখা হলে বা ফোন করে মাঝে মাঝে বলতেন ‘হৃদয় তুমি একজন সংবাদকর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসাবে খুব ভালো করেছো। তোমার একটা ছবি বা ভিডিও দিও, এগিয়ে যাও।’ নানা কথা বলতেন। যদিও উনার সাথে আমার গভীর কোন সম্পর্ক ছিলো না। তবুও ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা কমতি নেই। মহান আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন ভাইকে।
আরেক ব্যক্তি রিয়াদের সুপরিচিত মুখ যার কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না তিনি অনেক প্রবাসের পুরাতন স্মৃতি নিয়ে প্রায় লিখেন তার নাম কবি, লেখক প্রিয় শাহজাহান চঞ্চল। যার বলা, চলা সব কিছুই সকলের চেয়ে আলাদা। তিনিও আমায় যেখানেই দেখা হয় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। মাঝে মাঝে উনার ফেসবুক পেইজেও কোন না কোনভাবে আমার মতো স্নেহময় ছোট ভাইয়ের নাম পদবি লিখেন সাংবাদিক, নাট্যকার, কবি, লেখক, সমাজকর্মী এবং রোটারিয়ান হিসাবে।
এমন মানুষের ভালোবাসা পাওয়া আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষ হিসাবে ভাগ্য। কবি শাহজাহান চঞ্চল ভাইদের মতো মানুষ সবাই হয় না, হবে না, খুঁজেও পাবো না, মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া রইলো ভাইয়ের জন্য।
এতো শত ভালোবাসা রেখে দুনিয়ার সকল মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে অজানা, অদেখা চার দেয়ালের মাটির ঘরে। তখন মনের অজান্তে কষ্টগুলো এসে বুকে বাসা বাঁধে। ক্ষণিকের জীবনে তবুও ছুটে চলা। সকল আধার কেটে প্রতিটি মানুষের জীবনে আলো ফুটবে সেই প্রত্যাশাই করছি। ভালোবাসা হোক অবিরাম।
লেখক পরিচিতি : সৌদি আরব প্রবাসী