প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ভালোবাসি বলার কিছুটা আগে
তোকে রোজ একটি করে গোলাপের পাপড়ির টিপ পরিয়ে দেব। আমার কথা শুনে মুখ টিপে হাসে মেঘলা। মিষ্টি রিনরিনে গলায় বলল, যখন আমার বিয়ে হয়ে যাবে? তাৎক্ষণিক উত্তরটা দিতে পারলাম না। কেনো যেন থেমে গেলাম, সত্যি তো, মেঘলার বিয়ে হয়ে গেলে কী হবে? রিকশাটা ঝাঁকুনি খেতেই মেঘলা আমার হাত চেপে ধরল। আরেকটু হলেই হয়েছিল...। আমি হেসে বললাম, তুই এত মোটা কেন?
আমাকে নিয়ে তোর দেখছি খুব টেনশন, এটা নিজের বউয়ের ওপর প্রয়োগ করিস।
রাগ করলি?
আমি রাগ করলে তোর কী?
একটু বেশি রাগ কর না।
মানে?
খুব সোজা, রাগলে তোকে খুব সুন্দর লাগে। এতটা সময় আমি তোর সঙ্গে থাকি অথচ আজকের আগে জানতামই না। মেঘলা এবার আমার পিঠে চাপড় দিয়ে বলল, ইউ...তুই একটা হনুমান।
তোর মতো মুটি তো নই।
মেঘলা চুপ হয়ে গেল, খেয়াল করলাম, ওর চোখের কোণে জল ছলছল করছে। বাড়ির কাছে আসতেই রিকশা থেকে নেমে গেল। প্রতিদিন পেছনে ফিরে একবার তাকায়, আজ তাকাল না। রাতে অনেকবার ফোন দিলাম, ফোন ধরল না। পরদিন ভার্সিটিতেও এল না। কয়েকটা দিন কেটে গেল। হঠাৎ মেঘলার মেসেজ, ‘তুই কি আমাকে নিয়ে একটু রিকশায় ঘুরবি, জাস্ট এখনই?’ আমি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলাম, ‘অবশ্যই। তুই ফোন ধরিস না কেন?’
—তুই আমার বাড়ির সামনে আয়, আমি দাঁড়িয়ে আছি।
আমি সঙ্গে সঙ্গে রিকশা নিয়ে গেলাম, মেঘলা দাঁড়িয়ে আছে। শাড়ি পরেছে আজ, বাসন্তী রঙের, আমার খুব পছন্দের কালার।
তুই ফোন ধরিস না কেন? আর এমন বউ সেজে আছিস কেন?
—তোর ঘাড়ে চাপব বলে। ফোন না ধরলে তোর কি খুব লেগেছে?
সত্যি এ কটা দিন খুব কষ্টে কেটেছে।
কেন?
জানি না।
আমি জানি।
কী?
তুই আমাকে ভালোবাসিস।
কী করে বুঝলি?
মেয়েরা সব বুঝতে পারে। তুই একটা বোকা, গাধা। সাহস করে ভালোবাসার কথাটা বলতে পারিস না।