শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আমার প্রাণের চাঁদপুর

সুধীর বরণ মাঝি
আমার প্রাণের চাঁদপুর

আমি চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা পাড়ের ছেলে। তৎকালীন ত্রিপুরা জেলা, পরে যা কুমিল্লা নামে পরিচিত যে তিনটি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল চাঁদপুর তার অন্যতম। চাঁদপুর নামক এই জনপদটির ইতিহাস হাজার বছরের হলেও এর নামকরণের বয়স সাতশ’ বছরের বেশি নয়। মেঘনা, ডাকাতিয়া, ধনাগোদা নদীর কোলজুড়ে প্রায় বর্গাকার এক টুকরো ঘন সবুজ ভূখণ্ড নাম চাঁদপুর। চাঁদপুর জেলার ভূ-তাত্ত্বিক গঠন হয়েছে প্লাইস্টোসিন ও হলোসীন যুগে। চাঁদপুর জেলার ভৌগোলিক ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া যায় পার্গিটার রচিত পূর্ব-ভারতীয় দেশসমূহের প্রাচীনকালের মানচিত্রে। এই মানচিত্রে আজকের বাংলাদেশের এই অঞ্চলের দক্ষিণে সাগরনূপের, উত্তরে প্রাগজ্যোতিষ ও পূর্ব ভাগের পাহাড়ের পাদদেশের অঞ্চল ‘কিরাতাস’ নামে অভিহিত ছিল। তৎকালীন লোহিত নদীর (আজকের ব্রক্ষ্মপুত্র নদী) পলি দ্বারা ‘কিরাতাস’ অঞ্চল গঠিত। ‘কিরাতাস’ অঞ্চলের অধিকাংশ স্থান নিয়েই তৎকালীন কুমিল্লা জেলা গঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ চাঁদপুর জেলাও উক্ত ‘কিরাতাস’ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। টমাস ওয়াটারের মানচিত্রে পূর্ব-ভারতীয় অঞ্চলের এ স্থানে তিতাস ও সম্ভবত গোমতী নদীর গতিপথের দক্ষিণে ‘শ্রীক্ষেত্র’ নামক স্থানের অবস্থান দেখানো হয়েছে। বর্তমান চাঁদপুর জেলা এবং নোয়াখালী জেলার পশ্চিমাংশ নিয়ে তৎকালীন ‘শ্রীক্ষেত্র’ গঠিত হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।

রাজধানী ঢাকা থেকে চাঁদপুর জেলার দূরত্ব প্রায় ৯৬ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলা, মেঘনা নদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা, পূর্বে কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে মেঘনা নদী, মুন্সীগঞ্জ জেলা, শরীয়তপুর জেলা ও বরিশাল জেলা। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিলেছে। বারভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এ অঞ্চলে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জেএম সেনগুপ্তের মতে, চাঁদরায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে চাঁদপুর।

অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাসক দিল্লি থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদীবন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে নাম হয়েছে চাঁদপুর।

আমাদের চাঁদপুর, প্রাণের চাঁদপুর ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। আটটি উপজেলার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, এবং হাইমচর। প্রাণের চাঁদপুরের মোট আয়তন ২৬.৮২ বর্গ কিলোমিটার। চাঁদপুর জেলাটি মূলত একটি নদীমাতৃক জেলা। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এ জেলা অবস্থিত। এখানকার ইলিশ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুর এখন ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নামে পরিচিত।

বাঙালি জাতির অনেক উৎসব আয়োজনের সঙ্গে মিশে আছে মেলা বা আড়ং-এর ঐতিহ্য। চাঁদপুরেও বেশ কিছু প্রাচীন ও স্বাধীনতাত্তোর সৃষ্ট মেলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। উপজেলাভিত্তিক উল্লেখযোগ্য মেলাসমূহের মধ্যে রয়েছে চাঁদপুরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, বৈশাখী মেলা, বাবুরহাটের বৈশাখী মেলা, মেহেরনের রথের মেলা, ঐতিহ্যবাহী লেংটার মেলা ও অন্যান্য মেলা, মেহার কালী বাড়ির কালীপূজার মেলা, মেহার কালী বাড়ির পৌষ মেলা, মেহার কালী বাড়ির পৌষ মেলা, মেহার কালী বাড়িতে প্রতি বছরে ৭-১৫ দিনব্যাপী পৌষ মেলা উদযাপিত হয়। বৈশাখী মেলা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রতি বছরই মেহার কালী বাড়ি মাঠে ১ দিনের মেলা উদযাপিত হয়। জানা যায়, প্রায় ৫শ’ বছর যাবত এ মেলা উদযাপিত হয়ে আসছে।

ফরিদগঞ্জে পহেলা বৈশাখের মেলা প্রতিবছর চৈত্র-সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক গাব্দেরগাঁও নারিকেলতলা নামক স্থানে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয় এছাড়াও আস্টার মহামায়ার বৈশাখী মেলা আস্টার মহামায়া মন্দির প্রাঙ্গণ ও মন্দির সংলগ্ন আস্টাবাজারে প্রতিবছর ২ বৈশাখ বিরাট বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। হাইমচরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ছোট ছোট মেলা বা গলিহা বসে এবং সপ্তাহব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা হয়, সাচারের রথের মেলা, হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১ মাস ব্যাপী এ উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ‘মুক্তিযুদ্ধ বিজয় মেলা’ হয়ে থাকে। এছাড়া এ উপজেলায় নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে। এসব মেলায় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয় বর্তমান প্রজন্মের সামনে পরিচিত করা অতীত ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতির সাথে। এর মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে জাগ্রত হয় জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেমবোধ,দায়বোধ যার মধ্য দিয়ে তারা প্রাণের চাঁদপুরকে উৎকর্ষতার শীর্ষে তুলে ধরবে।

প্রাণের চাঁদপুরে উৎপাদিত কৃষিপণ্যগুলোর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন, হাইমচরের পান-সুপারী, মরিচণ্ডসয়াবিন, করলা, টমটো, কলা, ফুট (বাঙ্গী), ধান ইত্যাদি। মতলবের আলু, ধান, খিরা, সরিষা, কালিজিরা, ভুট্টা, পাট, আখ, মাল্টা তরমুজ, কলা ইত্যাদি। কচুয়াতেও আলু, ধান, কচু ভুট্টা, পাট, সূর্যমুখী এবং নানা রকম সবজি। হাজীগঞ্জে ধান, সরিষা, আলু, সূর্যমুখী এবং নানা জাতের সবজি উল্লেখযোগ্য। শাহারাস্তির আলু, ধান, পাট, শসা, ধুন্দল, ধনিয়াপাতা, আলু, ভুট্টা, সূর্যমুখী, ওলকচু ইত্যাদি উল্লেখ করার মতো। ফরিদগঞ্জের প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, গম, আলু, আখ, পান ইত্যাদি এবং চাঁদপুরের প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান ,গম , আলু, সরিষা পাট, সয়াবিন, আখ, অভিন্ন শাকসবজি। চাঁদপুরের প্রতিটি উপজেলাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ মৌসুমী ফল উৎপাদন হয়। কৃষির দিক দিয়ে চাঁদপুর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ একটি জেলা। আর এই জেলাতেই আমার বাস।

ঊনিশ শতকের শুরুতে চাঁদপুর লোকশিল্প ও চারুকলার দিক দিয়ে ছিল স্বর্ণযুগ ছিল। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে চাঁদপুরে লোক ও কারুশিল্পের যে প্রসিদ্ধি লাভ করে তা এক গৌরবের ইতিহাস। চাঁদপুরের কিছু কিছু অঞ্চলে লোকশিল্পের প্রসার ঘটেছিল। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটায় অনেক শিল্পই আজ হারিয়ে গেছে। বর্তমানে চাঁদপুর জেলার লোকশিল্প ও চারুকলাসমূহ আলোচনা করা হলো :

কুমার সম্প্রদায় আর আগের মত তাদের পূর্বপুরুষদের ব্যবসা আকড়িয়ে নেই। পূর্বের ন্যায় কুমার সম্প্রদায়ের লোকদের হাঁড়ি-কলসি বানানো দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়ে না। সিলভারের তৈজস সামগ্রী তাদের তৈরি পণ্যের স্থান দখল করায় অনেকে তাদের পূর্ব পুরুষদের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। চাঁদপুর সদরের তবপুরচণ্ডী ইউনিয়নে এবং পুরাণবাজারে এখনও বেশ কিছু কুমার রয়েছে।

কামার সম্প্রদায় এখনও তাদের পূর্ব পুরুষদের ব্যবসা আকড়িয়ে আছে। তাদের তৈরি দা, বটি বর্তমানে সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সমানভাবে সমাদৃত। অল্প সংখ্যক কামার সম্প্রদায়ের লোক তাদের পূর্বপুরুষদের পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।

মুচি জীবিকা নির্বাহের জন্য মুচি সম্প্রদায় রাস্তার পাশে ছোট পরিসরে তাদের পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুচিদের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় বর্তমানে বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে তাদের পূর্ব পুরুষের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।

হাইমচর উপজেলায় এক সময় তাঁতশিল্প ছিল এবং এখানে নীলচাষও করা হতো। হাইমচরের বিভিন্ন গ্রামে এখনো কামার রয়েছে তাদের নিজস্ব পেশায়।

মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর উপজেলায় বাঁশ ও বেতের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় নানা রকম পণ্যের ব্যাপক প্রচলন ছিল এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী নিজেরাই এগলো তৈরি করত এবং বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করত। তবে এখন আর আগের মতো তা দেখতে পাওয়া যায় না।

শাহরাস্তি উপজেলায় ভাস্কর সমীরণ দত্ত উপজেলার মেহার (উত্তর) ইউনিয়নের ঘুঘুশাল গ্রামের পাল বাড়িতে ভাস্কর সমীরুণ দত্ত গাছ ও মাটি দিয়ে বিভিন্ন নকশা তৈরি করেন। এছাড়া শাহরাস্তির বিভিন্ন গ্রামে কামার ও কুমার রয়েছে যারা এখনও তাদের পেশায় আছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় উপজেলায় লোক ও কারু শিল্পের মধ্যে উলে¬খযোগ্য হলো মৃৎশিল্প। পাইকপাড়া গ্রামে কুমার সম্প্রদায় এ শিল্পের সাথে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে জড়িত রয়েছে। এ শিল্পের পণ্যের চাহিদা বর্তমানে হ্রাস পাওয়ায় এ জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ পরিবার বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে।

প্রাণের চাঁদপুরের দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনার মধ্যে রয়েছে অঙ্গীকার, অরুণ নন্দী সুইমিংপুল, ইলিশ চত্বর, মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র (ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র), মনসামুড়া, মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড, চৌধুরী বাড়ি, নুনিয়া দত্তের বাড়ি পূজা মন্দির, মোলহেড : ত্রিনদীর মিলনস্থল, রক্তধারা, শপথ চত্বর, হযরত রাস্তিশাহ (রঃ)-এর মাজার ও দিঘি, লোহাগড় মঠ, রূপসা জমিদার বাড়ি, সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি, হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ, হাইমচরের মেঘনা তীর, নদীশাসন, হাইমচর পুরাতন কজেল মোড় এবং চরাঞ্চল, হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত ক্ষয়িষ্ণু ঐতিহ্য একটি মোগল গ্রাম অলিপুর ও দুটি মসজিদণ্ডস্থাপত্য শৈলীর অনুপম নির্দশন, আইসিডিডিআরবি, সাহার পাড়ের দিঘি, উজানী বখতিয়ার খাঁ মসজিদ, নাটেশ্বর রায়ের দিঘি, কড়ইতলী জমিদার বাড়ি, ভিঙ্গুলিয়া মসজিদ, নাওড়া মঠ, সাহাপুর রাজবাড়ি, নাসিরকোর্ট, কাশিমপুর রাজবাড়ি বারদুয়ারী, ঐতিহ্যের স্মারক চাঁদপুরের রূপালী ইলিশ, পুরাণবাজার বড় জামে মসজিদ, মঠখোলার মঠ, মোলহেড, লেংটার মাজার, ফরাজিকান্দি নেদায়েত ইসলাম কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র, (চাঁদপুর সদর), টরকী বকুলতলা, ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র, মিনি কক্সবাজার-চাঁদপুর, ধানুয়া মিনি হাওর (ধানুয়া-গাজীপুর ব্রিজ), লোহাগড় জমিদার বাড়ি, শোল্লা জমিদার বাড়ি, বলাখাল জমিদার বাড়ি, বড়কুল জমিদার বাড়ি, বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি , কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি , লুধুয়া জমিদার বাড়ি, গজরা জমিদার বাড়ি, হামিদ মিয়া জমিদার বাড়ি, চৌধুরী বাড়ি , সাহাপুর রাজবাড়ি, অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ, শহীদ রাজু ভাস্কর্য, ওনুয়া স্মৃতি ভাস্কর্য , দীপ্ত বাংলা (মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য), বখতিয়ার খান মসজিদ, আলমগীরী মসজিদ, চাঁদপুরবন্দর, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, তুলাতুলী মঠ, নাওড়া মঠ, মঠখোলার মঠ, যাত্রা মুনির মঠ, সত্যরাম মজুমদারের মঠ, দুর্লভ জাতের নাগলিঙ্গম গাছ (জেলা প্রশাসক বাংলো), ফাইভ স্টার পার্ক, পৌর পার্ক, বোটানিকাল গার্ডেন, মৎস্য জাদুঘর, শিশু পার্ক, গুরুর চর, সোলেমান শাহ-এর মাজার, কালীবাড়ি মন্দির , মেঘনা নদীর তীর, শাহ সুজা মসজিদ, সাচার রথ, কাটাখালী লঞ্চ টার্মিনাল, পশ্চিম লাড়ুয়া বড় ভূঁইয়া বাড়ি, রামপুর বাজার উল্লেখযোগ্য।

(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়