প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
সব মানুষ কবি-সাহিত্যিক তথা সৃষ্টিশীল জ্ঞানের অধিকারী হয় না। সভ্যতার এই যুগে স্রষ্টা শুধু মানুষকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞানের ক্ষমতা দিয়েছেন। চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরামের ১০০০তম সংখ্যাপূর্তি আমার কাছে মনে হয় হাজার বছরের এক বিশাল গৌরবের অর্জন। পাঠক ফোরামের আমি একজন নিয়মিত পাঠক ও লেখক। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে যদিও পাঠক ও লেখক পাওয়া কঠিন ব্যাপার, সে তুলনায় দক্ষ সম্পাদকের সম্পাদনায় চাঁদপুর কণ্ঠ ও পাঠক ফোরাম অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে, চাঁদপুরের স্থানীয় পত্রিকার মধ্যে সম্ভবত শ্রেষ্ঠত্বের আসন দখল করে রয়েছে। গল্প, কবিতা, প্রচ্ছদ, অনুগল্পে সুসজ্জিত পাঠক ফোরাম পাঠকসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ ও অন্যান্য পত্রিকার হেডলাইন ও বিষয়বস্তু প্রায় একই থাকলেও পাঠক ফোরাম চাঁদপুর কণ্ঠকে এক ভিন্ন মাত্রায় রূপদান করেছে। নিয়মিত পত্রিকা পাঠক হয়েও অধীর আগ্রহে বসে থাকি শুধু কখন পাঠক ফোরামের সংখ্যাটি হাতে পাবো, কারণ পাঠক ফোরামে নবীন, প্রবীণ সকল কবি-সাহিত্যিকের নানা রকম গল্প, ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ মুহাম্মদ ফরিদ হাসানের শৈল্পিক সম্পাদনায় বেশ চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। পাঠক ফোরামের লেখা পড়ে আমি এক মিশ্র অনুভূতি ও স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে যাই। কারণ পৃথিবীর সব মানুষের জীবন সংগ্রাম, সমাজ-সংসার এক নহে। তাই নানাজনের লেখা পড়ে বিভিন্ন রকমের স্বাদ অনুভব করি।
পাশাপাশি ‘শিশুকণ্ঠ’ বিভাগে যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য বিশেষ ব্যক্তিদের কথা, কবিতা, গল্প, ছড়া ইত্যাদি ছাপানো হয়, তাহলে তা হবে যুগোপযোগী বাস্তবিক ও নিরেট সত্যতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা আমার কবিতাটি দিয়েই লেখা শেষ করবো। আর আমার এই ক্ষুদ্র লেখাটুকু পাঠক ফোরামের ১০০০তম সংখ্যায় প্রকাশিত হলে নিজেকে ধন্য এবং কৃতার্থ মনে করবো।
বঙ্গবন্ধু
টুঙ্গিপাড়ার খোকা তুমি মিয়া ভাই,
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বলেই তোমার তুলনা নাই।
তিন বুতামের কালো কোট আর চশমা পরা মুখ,
ভালোবাসার বঙ্গবন্ধু সাহসে ভরা বুক।
যে মানুষটি না জন্মালে পেতাম না স্বাধীনতা,
তাঁর কারণেই আমরা পেলাম লাল-সুবজের পতাকা।
যুগে যুগে করবো লড়াই জয়-বাংলা বলবো,
জাতির পিতা বলেই তোমার স্মার্ট বাংলা গড়বো।
আমি পাঠক ফোরামের ১০০০তম সংখ্যাপূর্তিতে আন্তরিকভাবে গর্বিত এবং আনন্দিত। পাঠক ফোরামের উত্তরোত্তর সাফল্য এবং মঙ্গল কামনা করি। জয় হোক পাঠক ফোরামের।