প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
ঈশ্বর তুমি বদলে দাও আমায়
কখনো কখনো জমাটবাঁধা কষ্টগুলো
বাষ্প হয়ে বেড়িয়ে আসে,
অথবা নীরব কান্নার কারণ হয়।
‘ঈশ্বর তুমি দোষী’ বলে
হৃদয় নিংড়ে বেরুতে চায়
মনের এককোণে ফেলে সুখগুলোকে
খুঁজে বেড়াই সেই সুখ।
- তখন বলি, ‘ঈশ্বর তুমি বদলে দাও আমায়’।
জীবনযুদ্ধের এই মাহেন্দ্রক্ষণে
ক্ষণিকের সুখের তরে পাপের পরিমাণ বাড়াই;
আর তাই তো ধূলোমাখা পথ মাড়িয়ে
পাড়ি দিতে চাই অনেকটা পথ;
তাকাই যখন পিছু ফিরে
ধূলোমাখা পথের ধূলোময় কিছু স্মৃতিগুলো
হাতছানি দিয়ে ডাকে- আর আমি কাঁদি।
আঁধার আমায় মিথ্যে সুখে ভাসাতে চায়।
- তখন বলি, ‘ঈশ্বর তুমি বদলে দাও আমায়’।
খুব কষ্ট হয়
হাতড়ে বেড়ানো স্মৃতিগুলো;
শূন্যতা ছাড়া কিছু নয়-
আমি নির্বাক অথবা অবাক হয়ে শুধু ভাবি।
ধূলোগুলোকে ঝেড়ে দিয়ে
স্মৃতিগুলোয় আর পোড়াতে চাইছে না।
- তখন বলি, ‘ঈশ্বর তুমি বদলে দাও আমায়’।
আমি, তুমি আমরা সবাই
ইদানীং হয়তো এক যন্ত্রমানব হয়ে উঠেছি;
অন্তরে কষ্ট, হৃদয়ে দমানো অনুভূতিগুলো
তাড়িয়ে বেড়ায় অণুক্ষণে।
যাতনায় জ্বলছি- আমি, তুমি আমরা সবাই।
- তখন বলি, ‘ঈশ্বর তুমি বদলে দাও আমায়’।
আকাশ
সবারই আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করে
কী সুন্দর আকাশ, আর স্বর্গ
পৃথিবীর রূপ আমরা দেখি
আমরা ভোগ করি, ঈশ্বরের সৃষ্টি!
সুন্দরের বর্ণনায় আকাশের বিশালতা
আমরা খুঁজি, বিশাল আকাশ মিশে যায় দিগন্তে
আমাদের মন হারায়-মন রাঙায়।
আকাশের বিশালতা আমাদের হৃদয়ে ছন্দ তোলে
আমরা অতি ক্ষুদ্র
তবু ইচ্ছে করে মনটাকে আকাশের মতো
বিশাল হৃদয় রাঙিয়ে দিই পৃথিবীর রূপের কাছে।