প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
-বউ কথায় কথায় বলতে পারবে না- ‘আমি আর তোমার সঙ্গে থাকব না। আজই ছেলেমেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাব।’
-শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যেতে দই, মিষ্টি, বড় মাছ নিতে হবে না। ফলে গাঁটের টাকাকড়ি বেঁচে যাবে।
-যারা বেকার, ঘরজামাই হওয়ার সুবাদে তাদের আর কষ্ট করে চাকরি খুঁজতে হবে না। শ্বশুরের চালের গুদামে বিনা নোটিশে চাকরি হয়ে যাবে। অবশ্য কিঞ্চিৎ কষ্টের বিষয় হলোথ সে চাকরি বেতন ছাড়া।
-বউ বাপের বাড়ি বেড়াতে গেলে স্বামী খাবার-দাবার নিয়ে ভীষণ ভোগান্তিতে পড়ে। অনেক স্বামীকে অফিস করে এসে ক্লান্ত শরীরে রান্না করে তারপর খেতে হয়। কিন্তু ঘরজামাই হওয়ার সুবাদে এমন ভোগান্তি থেকে আপনি সম্পূর্ণ মুক্তি পেতে পারেন।
-ঘরজামাই শুধু শ্বশুরবাড়ির জামাই না। দিনের পর দিন তার চাঁদমুখ দেখতে দেখতে এলাকার মানুষও তাকে জামাই বলে সম্ভোধন করে। মানে তিনি ‘এলাকার জামাই’। ‘জামাই বাবাজি’ বলে সবাই বাড়তি খাতির করে!
-ঈদ বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে বউ, ছেলেমেয়ের জন্য স্বামীকে প্রচুর টাকা গুনতে হয়। প্রয়োজনে অফিস কামাই দিয়েও তাদের পেছন পেছন এ দোকান থেকে সে দোকানে ঘুরতে হয়। ফলে পড়তে হয় বসের ঝাড়ির বিড়ম্বনায়। অথচ ঘরজামাইরা এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকেন।
-ঘরজামাইরা শ্যালিকাদের খুব প্রিয় হয়ে থাকে। কারণ শ্যালিকাদের প্রেমঘটিত ব্যাপার-স্যাপারে ঘরের দুলাভাই-ই কেবল সাহস আর বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়ায়।
-ঘরজামাই শাশুড়ি মায়ের ভীষণ আদরের হয়। তাই তো যে কোনো প্রয়োজনে যেমন বাজার করা, বাড়ি তদারকি করাথ এসব কাজে নিজের ছেলেকে না বলে আদরের জামাইকে বলে।
-সর্বোপরি ঘরজামাইরা বউদের খুব পছন্দের স্বামী হয়। কারণ কাজের চাপে অনেক স্বামী স্ত্রীকে সময় দিতে পারে না। ফলে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ক্ষোভ তৈরি হয়। অন্যদিকে ঘরজামাইদের স্ত্রীর মুখে এমন অভিযোগ শুনতে হয় না।