প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
বাংলার নবজাগরণের পুরোধা
জন্মেছিলেন পঁচিশ জানুয়ারি আঠারোশ চব্বিশ,
ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি
কবি নাট্যকার প্রহসন রচয়িতা।
বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের
অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি
প্রবর্তনের কারণে আধুনিক বাংলা
সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অবিহিত,
মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত
কায়স্থ বংশে জন্ম হলেও-
মধুসূদন যৌবনে গ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্ম।
পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্ণিবার আকর্ষনবশত ইংরেজি
ভাষায় সাহিত্য রচনায় করেন মনোনিবেশ।
পরবর্তীতে রচনা করেন বাংলায় নাটক
প্রহসন কাব্য ও মহাকাব্য।
তিনি বাংলার সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ।
কবির ব্যক্তিগত জীবন ছিল বড়ই নাটকীয় এবং বেদনাঘন।
মাত্র ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে কলকাতায় এই মহাকবির
অকাল মৃত্যু হয় এক শোকাবহ অবস্থার মধ্যে।
তাঁর সৃষ্টি কখনোই ভুলরার নয়।
বাংলা সাহিত্যে তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি, তাঁকে করেছে অমর।
তিনি বাংলার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত,
বাংলা নবজাগরণের পুরোধা।
নিজেকে খুঁজি
আমি আমার মধ্যে আমার আমিত্বকে খুঁজি।
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত নিজেকে খুঁজি, খুঁজতে হয়।
শত প্রলোভনের মাঝখানে থেকেও
আমি আমাকে খুঁজি।
স¦র্গের সমস্ত সুখ হাতের মুঠোয় নিয়ে
আমি আমাকে খুঁজি,
আবার দোজখের আগুনে পুড়ে খাক
হতে হতে নিজেকে খুঁজি।
খুঁজি...। আমার অস্তিত্ব , আমার আমিত্ব।
কে আমি? কোথায় আমি? কার আমি? কিসের আমি?
পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতায় দাঁড়িয়ে
খুঁজে ফিরি নিজেকে,
পাতালের অতল গহবরে গিয়েও
নিজেকে খুঁজি।
খুঁজি...। খুঁজতে হয়।
আমার আমি-কে... আমার আমিত্ব-কে...