প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
পৌষ মাসকে পিঠাপুলির মাস বলা হয়। এ সময় সবার বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর ধুম পড়ে যায়। নানা রকম বাহারি পিঠা পুলি তৈরি করা হয়। খেজুর রসের গুড়ের স্বাদে ভরায় নানান রকম পিঠাপুলি। যেমন খেজুর পিঠা নুনাস পিঠা পুলি পিঠা ফুল পিঠা দুধ পিঠা রুটি পিঠা ভাপা পিঠা তেল পিঠা ইত্যাদি পিঠা পুলির আয়োজন করা হয়। সকাল বেলায় বা সন্ধ্যা বেলায় গ্রামের নানী দাদীরা আটা তেল গুড় ইত্যাদি যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে পিঠা তৈরি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
এ সময় শীতের ছুটিতে শহরের মানুষ গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। শিশির কণায় ও কুয়াশার মাঝে চুলার পাশে বসে নানা রকম পিঠা তৈরি করেন। সেখানে আবার বাড়ির মানুষজন বাদে অব্য বাড়ির মানুষজন ও আসে। নানী-দাদিরা পিঠা তৈরি করতে ও তার সাথে নানা গল্পে মেতে উঠে। একদিকে পিঠা বানানোর জন্য সবকিছু ঠিক করছে। আর একদিকে গল্পের আসর বসেছে।
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে রোজ ভাপা পিঠা যাওয়ার মজাই আলাদা যা বলে বোঝানোর মতো না। সাথে আরো যদি থাকে খেজুরের গুড় ও আখের গুড়।
তাহলে তো জমজমাট খাওয়া আর আনন্দের মাঝে থাকা। সবাই মিলে একসাথে পিঠা পুলি খাওয়ার সময় পূর্ব আকাশের কোণে ভেসে উঠে একটা লাল রঙের কিরণ ভরা রবি। পিঠা খাওয়ার সময় সূর্য মামার মিটিমিটি আলোয় মিষ্টি ভরা তাপ। নাস্তা খাওয়ার পরে সবাই সবার কাজে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে একটু হালকা ভাত খাওয়া হয়। এভাবে বেশ খানিক সময় কাটে। বিকেল বেলায় সবাই বাজারে যায় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে চলে আসে।
সন্ধ্যা বেলায় পুলি পিঠা তৈরির জন্য আটা নারিকেল তেল চিনি গুড় ইত্যাদি জিনিসপত্র নিয়ে রান্না ঘরে আসেন। নারিকেল খোসা ছড়িয়ে ভিতরের সাদা অংশ নিয়ে রুটির মাঝে দিয়ে তেলে ভেজে পাত্রে রাখছে। সবাই চারিদিকে বসে একইসাথে পুলি পিঠা খাওয়ার সময় নানান গল্পের আসরে বেশ কিছু সময় কেটে যায়।
চুলার পাশে বসে আগুন পোহানোর দৃশ্য তো আছে। শীত নিবারণের জন্য সবাই মিলে চারিপাশে বসে আগুন পোহানো। বেশ কিছু সময় পর রাতের খাবার খেয়ে শুইয়ে পড়ি । পরদিন সকালবেলা নানী দাদীরা খড়খুটো জ্বালিয়ে আগুন জ্বালান এবং পাশে বসে আগুন পোহান। পাশে বসে নানা রকম পিঠা খাওয়া।
এভাবে কেটে যায় কয়েক দিন। ছুটির শেষে সবাই মিলে একসাথে আবার শহরের পাণে ছুটে আসা।