প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
আমি কবি, কখনো এমন কথা বলার দুঃসাহস
আমার নেই। তবে কালেভদ্রে লিখি দু-এক ছত্র
অন্য আর দশজনের মতো, আরো লিখি চিঠিপত্র;
যেখানে আমার স্বপ্ন, মনের ভাবনা সবকিছুুই প্রকাশ
করে থাকি অনায়াস।
সেই আমি কি একটি কবিতা লিখতে পারি না?
আমার চিরদুঃখী মাকে স্মরণ করে হৃদয়ের সবটুকু
ভক্তি-শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর মমতা আছে যতটুকু
সমস্ত করে নিবেদন মায়ের পদতলে; ওগো মা।
এই আমিই তো আমার বাবা, সন্তানকে নিয়ে
এইদেশ, দেশের মানুষ প্রেমণ্ডপ্রকৃতি আর নদী-জল
নিয়ে লিখেছি। আজ পাথরের চোখ কোটরে বসিয়ে
সাদাছড়ির কাঁধে রেখেছি হাত; আমার কলম যেন অচল।
মা, মাগো! তুমি ছিলে আমার দেখা সকল স্বপ্নের
প্রেরণা, শিক্ষার হাতেখড়ি অবুঝ মুখে ফোটা
প্রতিটি শব্দের জননী, আমার সুদূর গন্তব্যের
বাতিঘর; হতাশার আঁধারে পথ দেখানো আলোকচ্ছটা।
সন্তান হিসেবে মায়ের কাছে আমার ঋণের শেষ নাই;
শোধ হবার নয়। তবু মায়ের জন্য একটি কবিতা লিখতে চাই।
মা, আমায় ক্ষমা করো; স্নেহভরে তোমার কোলে তুলে নাও।
আমি যেন হই তোমার নয়ন শীতল করা ধন। প্রত্যহ নতশিরে;
হে দয়াময়! আজ তুমি আমার লেখনী সচল করে দাও।
আমার প্রতিটি দিবস মায়ের মাগফিরাত কামনা করে।
হে আমার প্রতিপালক! তুমি মহীয়ান গরিমায় আপন,
মা’কে রহম করো; যেমনি শৈশবে আমায় করেছে প্রতিপালন।