প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
মনে পড়ে কোন এক রৌদ্রদীপ্ত, বিষাদে অবসন্ন
মন আনচান করা উদাস দুপুরে।
সবুজে সাজানো কবিতায় বাঁধানো চিরায়ত
এই বাংলার তটে, হঠাৎ দেখা অচেনা প্রেয়সির মতো।
এমনই গাঁয়ের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ধরে,
খুঁজে ফিরি আমি হারানো সেই মুখটি, যে অনন্য।
পথের ধারে সারিসারি দেবদারু-তাল-বাবলা গাছের
চিরল পাতার ছায়ার নিচে, ক্লান্ত দেহ ছড়িয়ে দিয়ে
একটুখানি বিরাম নিয়ে, চলেছি আবার সবুজ ক্ষেতের
সরু আলপথে; যে পথ ফুরায় দূর সীমানায় গিয়ে।
দিগন্তের ওই সবুজ মাঠ আর হাসিমাখা রোদ্দুর, ধানের ক্ষেতে
বাউলা বাতাস ঢেউ খেলে যায়, গায়েন পাখির কিচিরমিচির।
বটের ছায়ায় পল্লী মায়ায় রাখাল তোলে খেয়ালি সুর।
এমনতর অবাক দুপুর;
মন হারিয়ে ভাবছি কেবল চোখ মেলে আর কান পেতে।
ঐ যে বয়ে চলা নদী-পালতোলা নাও, তরী খেয়াঘাট।
যার স্তনসূধা অনবরত করে পান,
রূপে গন্ধে ভরে উঠে শস্য-শ্যামল মাঠ;
যেন যৌবন উছলে গেয়ে উঠে কিষানি-কিষান।
অনতিদূর থেকে ভেসে আসে মোয়াজ্জিনের
গগণ বিদারী সুর। আমার কর্ণকুহর বিদীর্ণ হয়;
হৃদয় গহীনে করে আঘাত। ব্যাকুল প্রাণের
চঞ্চলতা খুঁজে পায় পরমাত্মা; অপার বিস্ময়।
এই মহাবিশ্বের চেয়েও বিশাল বিস্তৃত,
কোন এক অজানা অস্তিত্ব।