মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

এক পলকের প্রেম
অনলাইন ডেস্ক

রাত এগারোটা। নিজের বাসায় শুয়ে আছি। হঠাৎ মনে হলো ও বাড়ির কথা। গতকালের সন্ধার কথা। ওরা যে প্রশ্ন করছে। আর যেভাবে কথা বলছিলো। ভাগ্নি হলে এভাবে আমার সাথে কথা বলার কথা না। আমি সন্ধার আড্ডা কল্পনা করে সব মনে করতে চেষ্টা করলাম...

সন্ধায় ঘরে ফিরলে সবাই আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠলো।

-আপনার জন্যই অপেক্ষা করছি। কবিতা শোনান...

-তুমি আবার কবিতার কথা জানো কীভাবে?

-ভাবীর কাছে থেকে আপনার কবিতার বই পড়েছি। এখন আপনার মুখে শুনতে চাই।

-আচ্ছা, ঠিক আছে। বলে ওদের কাছে বসলাম।

সবাই ফের চিৎকার উঠলো। শোনালাম কবিতা। তারপর গল্প। এবার রোমান্টিক গল্প শুনতে চাইলো। মাথা নিচু করে মোবাইলের নোট থেকে পড়তে শুরু করলাম।

গল্প পড়ছি। তারা বেশ উপভোগ করছে বুঝতে পারছি। মাঝ মধ্যে মুচকি হাসছে। গল্পের মধ্যে যখন পড়ছিলাম ‘তুমি হাতটা শুধু ধরো, আমি হবো না আর কারো’। তখন ওরা হেসে উঠছিলো আর একে অপরকে খোঁচা মারছিলো। আমি আড়চোখে তা দেখে ছিলাম। আমার তখন ভারী লজ্জ্বা লাগছিলো।

এক পর্যায়ে গল্প শেষ হলো। সাথে সাথে বলে উঠলো।

-না ঠিক আছে।

-কিছুই ঠিক নাই। সবই কল্পনা। আমার সাথে বাস্তবে কিছুই ঠিক নাই।

-আচ্ছা আপনার বয়স কতো?

-ছাব্বিস চলে...

-এতো!

-হুম।

-তে বিয়ে করবেন কবে?

-এইতো আর তিন চার বছর পর করবো।

-তখন করে লাভ কী! আপনি তো তখন বুড়ো।

কথাটা শুনে লজ্জ্বা পেলাম। আমি ভালো করেই জানি এখানে ভাগ্নিরা আর ছোট ভাইয়ের বউ আছে। এখনো মাথা নিচু করে বসে আছি। সত্যিকারে কে কে আছে জানার আগ্রহ নাই। তাই মাথা নিচু করেই একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছি।

এক পর্যায়ে বলে উঠলো...

-ছোট ভাই বিয়ে করে ফেলছে। আপনি কবে করবেন?

-ছোট ভাইয়ের লাইন হয়েছে। আমার হয় নাই। সে এখন বিজনেস ম্যান। আমি ছোটখাটো চাকরি করি। তাছাড়া আমার সামনে মাস্টার্স পরীক্ষা।

হঠাৎ মামী ঘরে আসলো। আসর ভেঙে ঘুমাতে চলে আসলাম। অনেক ভেবে বুঝলাম। এটা ভাগ্নি হতে পারে না। সাথে সাথে ভাবীকে নক করলাম। জানতে পারলাম সে মামতো বোন ছিলো! ভাবী জানতে চাইলেন। সুন্দরীটাকে তাহলে পছন্দ হয়েছে? আমি ফের কল্পনায় চলে গেলাম। সেই বিকেলে ভাইয়ের ঘরে শুয়ে ছিলাম। সে আচমকা ঘরে এসেছিলো। এক পলক আমাকে দেখেই আড়ালে চলে গেল। আমি এই প্রথম তাকে দেখলাম। একপলকই দেখলাম। ও ঘরে ঢোকার সাথে সাথে অন্ধকার রুমটা যেন আলোকিত হয়ে গিয়েছিলো। ভাবীকে বললাম। এমন অসম্ভব সুন্দরীকে পছন্দ না হয়ে উপায় আছে? কিন্তু হলেই বা কী...। তিনি বললেন, ভাগ্য থাকলে সব হয়। আমি এড়িয়ে গেলাম। এখনো বলার সময় হয় নাই। তাছাড়া ক্ষণিকের দেখার পর প্রেম ভয়ানক সুন্দর। তবে ভালোবাসা পূর্ণতা কমই পায়। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। ঠিক তখনই আমার বুকের বাঁ-পাশে চিনচিন ব্যথা করছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়