প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
কখনো কখনো নিজেকে হারাই ঢেউ খেলানো আকাঙ্ক্ষার অসীমে।
নতুন এক আমাকে খুঁজে পাই প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার শিখরে।
পোষাকে জমা ধূলোরাশির মতো জীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলে সজীব ও পরিপাটি হয়ে উঠি নতুন কোনো আমি।
দায়বদ্ধতা, কর্তব্য, নীতি-নিষ্ঠা সবকিছু দুমড়ে-মুছড়ে পদপৃষ্ট করে আমি এগিয়ে চলি প্রাপ্তির প্রান্তসীমা ছাড়িয়ে।
প্রশান্তির পরশে আবগাহন করে স্নিগ্ধতায় ভরে যায় আমার সমস্ত সত্তা।
অসম্ভবের অলীক অরণ্যে বিলীন হয়ে আমি হয়ে উঠি মক্ত বলাকা।
উঁচু তলার প্রশস্ত বারান্দায় দাঁড়িয়ে দূর-দূরান্তে অবলোকন করি দিগ্বিজয়ী স¤্রাটের বেশে।
কখনো কাশবনের গহীনে হারিয়ে অসীম আকাশের বুকে সাদা মেঘের লুকোচুরি খেলার সাথে মিতালী করে কেটে যায় গোধূলী পেরিয়ে সন্ধ্যাবেলা।
নায়াগ্রার জলপ্রপাতে ছিঁটকে পড়া জলকণা হাতে নিয়ে ফিরিয়ে আনি শৈশবের ধানের শীষে জমা শিশির ফোঁটা ছুঁয়ে দেখার দিনগুলোকে।
আটলান্টিকের গহীন থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নিয়ে জনমণ্ডজনমের অন্তরস্থ আগ্নেয়গিরি গুলোকে নিভিয়ে দিই নিমিষে।
তাসখন্দ, ম্যাকাওয়ে, বার্লিন, তেহরান, কায়রো কিংবা ইস্তাম্বুলে ঘুরে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ, প্রকৃতি ও জীবনগুলোকে দেখে ফিরি আপন মনে।
টেমস থেকে মিসিসিপি হয়ে আমাজানের স্রোতে ভেসে, অ্যান্টার্কটিকায় পেঙ্গুইনের দেশে শ্বেত ভালুকের সাক্ষাৎ নিয়ে, সাহারার তপ্ত বালুতে পদচিহ্ন আঁকি।
শূন্যতার অসীমে দুঃসাহের ভেলায় ছেপে মিল্কিওয়ে, অ্যান্ড্রোমিডা অসংখ্য ছায়াপথ মাড়িয়ে, গ্রহ-নক্ষত্র-উল্কারাজীর অপার সৌন্দর্যের পরশ নিয়ে আমি ছুটে চলি সৃষ্টিদিগন্তের অন্তহীনে।
লেখা পাঠানোর ই-মেইল : [email protected]