প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
রোদমাখা দুপুরে উৎসুক চোখ-মন স্বপ্নিল বেশে
চৌদ্দ বছরের কিশোর, নাবিক হওয়ার উল্লাসে।
গাংচিলেরা ডানা মেলে ওত পাতে চাম্বুল ডালে
দক্ষিণা বাতাসে ঢেউ উঠে, ডাকাতিয়ার শান্ত জলে।
মোটা থামে দাঁড়ানো সেতু অস্থির, যান পারাপারে
জোহরের আজানের ধ্বনি ভাসে মসজিদের মিনারে।
রাধাচূড়ায় ফোটে ফুল, শান বাঁধানো ঘাটে
কেসিয়া জাভানিকায় নয়ন ছুটে দক্ষিণের মাঠে।
কৃষ্ণচূড়া, ঝাউ, জারুলে মোহিত নয়ন-মন
৭ মার্চ চত্বরের ছবিতে, বঙ্গবন্ধুর আঙ্গুল তোলা ভাষণ।
অর্নিবান উত্তরাধিকার সৌধ, ভাষা শহীদের ত্যাগের কথা বলে
বিদ্যাভবন মুখরিত, একঝাঁক স্বপ্নদেখা শিক্ষার্থীর কোলাহলে।
শিক্ষকদের শ্রমে গড়া এ যেনো-এক শিক্ষা বিলাসী পরিবার
শিক্ষাদানে নিপুণ পদচারণা, শ্রেণীকক্ষে বারবার।
সম্মুখের বাদামতরু সাক্ষী, প্রতিটি প্রাণের যাতায়াতে
উত্তরের বকুলতলা সুভাষিত, শুভ্র কুসুমে ছেয়ে থাকে।
রবীন্দ্র-নজরূল চত্বরে, কৌতুহলী প্রাণের বিস্মিত অন্বেষণ
পদ্য লাইনের বাণীর মর্মার্থে, মুগ্ধ আকুল মন।
জানতে শেখায়, দেওয়ালে বাধা মহাপুরুষের বাণী
কবিদের সৃষ্টি কাব্যের কথায়, শীতল হৃদয়খানি।
নয়নতারা, রক্তজবা, হাজার গোলাপের হাসি
শালুকের বুকে ফোঁটা লাল, নীল, সাদা পদ্ম রাশি রাশি
আষাঢ-শাওনে ‘চার নেতা’ ভবনে, বৃষ্টির ধ্বনি বাজে
টগর, বেলিতে সুরভীত অঙ্গন, অভিনব রূপের সাজে।
দুর্বা ঘাসে নীহার বিন্দুর ভাব, পৌষ-মাঘের সকালে
গন্ধলি ফুলের সৌরভে, মধুমক্ষিকারা নাচে দলে দলে।
আম, জাম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলার সমাহার
জামির, লেবু, আমরুত, সবজির বাহার।
ক্যান্টিনের আড্ডায় শিক্ষার্থীরা দেখে, নিত্য খবরের পাতা
গ্রন্থাগারে সহপাঠীদের অনুশীলন, খুলে বই-খাতা।
সেই সৌন্দর্য পরিচর্যায়, এক প্রাণ আকুল রাত-দিন
সদা নিরলস নিষ্ঠায়, সর্বজনের শ্রদ্ধা তুলনাহীন।
বছরজুড়ে বিদ্যাদান, শিক্ষার্থীদের সংকোচহীন পাঠগ্রহণ
শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে, শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন।
ক্রীড়া, বিতর্ক, শিক্ষাসফর সাংস্কৃতিক বিনোদন
নৈস্বর্গিক শোভায় ঘেরা, চির সবুজের ভুবন-এই
বিদ্যানিকেতন।