রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

দেবদূত
অনলাইন ডেস্ক

কিছু কিছু কথা লেখার শব্দ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। তেমনি তোমাকে নিয়ে লিখতে বসলে আমারও একই অবস্থা হয়েছে। কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কোন্ শব্দ দিয়ে তোমাকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায় সেটা সত্যি আমার অজানা। কি দিয়ে শুরু করবো আর কি দিয়ে শেষ করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। সবটাই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছি। আচ্ছা তুমি কি কেবলই একটা চরিত্র? কেবলই বাংলা অক্ষরের জালে আবদ্ধ কয়েকটি লাইন? নাকি আমার গল্পের মূল অংশ? এইটুকু কি তোমার পরিচয়? না! আমার তো মনে হয় এই অল্পতেই তোমার পরিচয় শেষ না। তুমি এক ভালোবাসার নাম, এক অনুভূতির নাম, মনের কল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করতে চাওয়া এক অতৃপ্তির নাম, একটিবার সামনে থেকে ছুঁয়ে দেখতে চাওয়া এক ইচ্ছার নাম, তোমার মতো তোমাকে পাওয়া এক স্বপ্নের নাম। নিদ্রাহীন প্রতিটি রাতে কল্পনার জগতে তোমাকে নিয়ে ভাবা প্রতিটি রাতের নাম। তুমি কি জানো হৃদয়ে স্পন্দিত হওয়া প্রতিটি স্পন্দন হয়তো তোমার নামে বয়ে চলে প্রতিনিয়ত। আচ্ছা তুমি কি জাদুকর নাকি মায়াবী? আমাকে এভাবে কি করে সম্মোহিত করো তুমি? তুমি কি জানো তোমার মুখে হাসি দেখার জন্যে মন কতোটা তৃষ্ণার্ত? তোমার হাসিতে চোট হয়ে যাওয়া চোখে হারিয়ে যাওয়ার জন্যে মন কতোটা ব্যাকুল? তুমি কি জানো তোমার কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিতে কতোটা মনে ইচ্ছা জাগে? জেনেও হয়তো বসে বসে মজা দেখছো তাই না? তোমাকে বুঝানোর মতো আমার সেই শক্তি নেই। আমার ভালোবাসাটা যদি মাপা যেতো হয়তো এক পৃথিবীর সমান ওজন হয়ে যেতো। তাতেও তোমাকে বুঝাতে পারবো কি না জানি না। কেনো জানি এলোমেলো হাওয়ার মতো উঠে যাচ্ছি তোমার শহরে। আসলে ভালোবাসা হলো এক দমকা হাওয়ার মতো কখন কোনটা উড়িয়ে নিয়ে যাবে কেউ বলতে পারে না। আবার কোনটা উড়িয়ে নিয়ে আসবে কেউ জানে না। তবে সেই দমকা হাওয়ার মাঝে থাকা একঝাঁক অনুভূতি আর ভালোবাসা কেউ বুঝতে পারে না। আমি হয়তো তোমাকে সেটাও বুঝাতে পারবো না। আকাশের চাঁদ যেমন চাইলেই ধরতে পারবো না, আবার না তাকিয়েও থাকতে পারবো না তেমনই হয়তো তুমি।

যাযাবর তার দৃষ্টিপাত উপন্যাসে লিখেছিলো ছেলেদের প্রেম মেয়েদের কাছে আটপৌর শাড়ির মতো যাতে না আছে উচ্ছলতা আর মেয়েদের প্রেম ছেলেদের কাছে গরিবের বেনারসি শাড়ি। যে পায় সে অনেক মূল্য দিয়ে পায়। তোমাকে কেনার মতো টাকা না থাকায় পারলাম না কিনে নিতে।

তোমাকে যেদিন দেখেছিলাম মনের মাঝে সেদিন দাগ কেটেছিলো। তোমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার মাঝে যে কি এক অনুভূতি কাজ করতো তা বোঝাতে পারবো না। প্রথম দেখাতে যে কেউ আমার মনের জমি দখল করে নেবে সেটা ভাবিনি কখনো।

তুমি হয়তো বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতো যেখানে গেলে মানুষ ফিরে আসতে পারে না তেমনি তোমার শহরে আমি হারিয়ে গেছি সেখান থেকে বেরিয়ে আসার শক্তি আমার নাই, হয়তো তোমার শহরেই মারা যাবো।

একটা কথা মনে হলো, প্রাচীন রাজার শাসনামলে রাজা হার্মাশিসকে ভালোবেসে উপেক্ষিত হতে হয়েছিলো চার্মিয়ন নামের এক নারী। আত্মহত্যার মতো অভিশপ্ত পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চার্মিয়ন লিখেছেন, হার্মাশিস তোমাকে ভালোবাসলে শুধু উপেক্ষাই করলাম, কিন্তু বুঝতে চাইলে না তোমার উপেক্ষার ছুরি আমাকে কতটা বিদ্ধ করেছে। আমারও অবস্থা একই।

হৈমন্তী গল্পে অপু হৈম সম্পর্কে বলেছিলো, কবে যে সাদা মনটার উপর একটু রঙ ধরিল, চোখে একটু ঘোর লাগিল, তাহা ঠিক করিয়া বলিতে পারিব না। আর অপুর মতো আমার ও হয়েছে যেদিন থেকে তোমায় দেখেছিলাম। তোমার সেই মায়াবিনী মুখখানা হৃদয়ের দর্পণে একে রেখেছি হৃদয়জুড়ে। সারাদিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধ্যা হলেই এক ¯œায়ুযুদ্ধ অতিবাহিত হয় আর তখনি ওই দূর আকাশের অগণিত লক্ষ তারার ভিড়ে আমার এই আঁখি দুটি তোমায় খুঁজে ফিরে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়