রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

রবীন্দ্রনাথ ও চাঁদপুর বিষয়ক বই
অনলাইন ডেস্ক

তব অমল পরশ-রস শীতল শান্ত

পুণ্যকর অন্তরে দাও।

তব উজ্জ্বল জ্যোতি বিকাশি হৃদয়

মাঝে মম চাও।।

মনে পড়ে “ন হন্যতে’র” কথা। মৈত্রী দেবী কবিগুরুর পায়ের উপর মাথা রেখে কেঁদেছিলেন। ওই জায়গাগুলো চোখ বুঁজে অনুভব করতাম। আফসোস হতো খুব! কেনো আমি মৈত্রী দেবীর মতো তাঁর ¯েœহ-সংস্পর্শে আসতে পারিনি!

পর মুহূর্তে নিজেকে বুঝিয়েছি এইতো তাঁর সৃষ্টির মাঝে রোজ তাঁকে অনুভব করি। তাঁর ছায়ামূর্তি যে হৃদয়ের সিংহাসনের পরম পূজনীয় স্থানে পূজিত হচ্ছে ভালোবাসায়। এইতো অনেক বড় পাওয়া।

সেই আফসোসটাকে আবারও জাগিয়ে দিলো শ্রদ্ধেয় কবি মুহাম্মদ ফরিদ হাসান সম্পাদিত ‘রবীন্দ্রনাথ ও চাঁদপুরের মানুষেরা’ বইটি।

যে কালীবাড়ি রেলস্টেশন রোজকার পথ, এই স্টেশনে প্রাণের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসেছিলেন! এখন তো আমি যতোবার স্টেশনে যাবো তাঁকে অনুভব করবো যেমন করে শান্তিদেব ঘোষ গান গাওয়ার সময় তাঁকে বিশেষভাবে অনুভব করেছিলেন!

আফসোস হয় ভীষণ, আমি কেনো চিত্রনিভা, শান্তিদেব কিংবা কালীমোহন অথবা সাগরময় ঘোষ না! আমি কেনো রবীন্দ্র-যুগের কেউ না। কেনো আমি সাগরময় ঘোষের মতো বলতে পারি না...

‘যদি কেউ প্রশ্ন করে এই পৃথিবীতে জন্মে তুমি কি পেলে? আমার উত্তর রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্রনাথ।’

কেনো তাঁর সত্তরতম জন্মজয়ন্তীতে শান্তিনিকেতনের শালবীথিকার মাথার উপর সীমাহীন আকাশের নিচে, চন্দ্রালোকে বসে তাঁর মুখ থেকে ‘সতী’ কবিতার আবৃত্তি শুনতে পারিনি!

সাগরময় ঘোষের ভাষাতেই নিজেকে শান্ত¡না দিই, সৃষ্টিকর্তা আপন সৃষ্টির মধ্যেই স্বপ্রকাশ। নাই-বা হলো তাঁকে চাক্ষুষ দেখার সৌভাগ্য। তিনি হৃদয়ে ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায় লালিত হোক।

শ্রদ্ধা রইলো কালীমোহন ঘোষ, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, শান্তিদেব ঘোষ, চিত্রনিভা চৌধুরী, আল্পনা শিল্পী সুকুমারী দেবী, যাযাবর ও সাগরময় ঘোষের মতো চাঁদপুরের কৃতী সন্তানদের প্রতি। যাঁরা কবিগুরুর ভালোবাসা ও ¯েœহ সংস্পর্শে আসতে পেরেছিলেন।

বিশেষ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা কবি মুহাম্মদ ফরিদ হাসানের প্রতি বইটি উপহার দেয়ার জন্যে। আর এতো সুন্দর করে সবকিছু তুলে ধরার জন্যে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়