প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
মালয়েশিয়াতে স্ত্রীকে হত্যা : বাংলাদেশি যুবকের ২০ বছরের সাজা বহাল
মালয়েশিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ২০ বছরের সাজা পাওয়া বাংলাদেশি প্রবাসীর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। মঙ্গলবার (১ অক্টেবর) এক রায়ে তার সাজা অপরিবর্তিত রাখার আদেশ দেন আদালত।
বিচারপতি ওয়াজির আলম মাইদিন মীরার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে বলেছে, দোষী সাব্যস্ত করা আসামিকে ছাড় দেওয়া প্রতিটি মামলার নির্দিষ্ট তথ্য এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। বেঞ্চের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছিলেন আহমেদ জাইদি ইব্রাহিম এবং এস এম কোমাথি সুপ্পিয়া।
মঙ্গলবার নিউস্ট্রিট টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আপিল আদালত বাংলাদেশি শাহজাদা সাজুর মামলায় এই রায় দিয়েছেন, যিনি ছয় বছর আগে তার স্ত্রী সাজেদা ই বুলবুলকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে লাগেজের মধ্যে ঢুকিয়ে ডোবায় ফেলে আসেন।
২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট প্রসিকিউশনের মামলার শেষে সাজুকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। আহমেদ জাইদির দ্বারা প্রস্তুত করা একটি লিখিত রায়ে আদালত বলেছে, মামলাটির ক্ষেত্রে বর্বরতা ও নৃশংসতার যে দৃষ্টান্ত অভিযুক্ত তৈরি করেছে, তাতে মামলার ঘটনার ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সাজা বহাল রাখা হয়।
রায়ে আরও বলা হয়, একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি, যিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাকে ছাড় বা ক্রেডিট দেওয়া হবে কি না তা প্রতিটি মামলার ঘটনা এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
সাজেদা-ই-বুলবুল পটুয়াখালী সদরের পুরাতন আদালতপাড়ার মো. আনিস হাওলাদারের মেয়ে। তিনি প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং এল এম পাস করেন। বিয়ের পর ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়া যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর স্বামীর অন্য চেহারা দেখতে পান। শাহজাদা নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তৈরি করে দেননি। নিয়মিত করতেন নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৫ জুলাই সাজেদাকে নৃশংস কায়দায় হত্যা করে স্বামী শাহজাদা। অপরাধ গোপন করতে স্ত্রীর মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে লাগেজে ভরে সুংগাই কালাং (জালান ইপুহ) এলাকায় এক ডোবায় ফেলে গা ঢাকা দেন।
দুই লাগেজে ভর্তি সাজেদার আট টুকরা মরদেহ প্রথমে দেখতে পান একজন ভবঘুরে ব্যক্তি। তিনি পুলিশে খবর দিলে এই নৃশংস ঘটনাটি সামনে আসে। পুলিশ শাহজাদাকে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই দেশটির জোহর রাজ্যের পেঙ্গেরং থেকে গ্রেফতার করে।