প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
রোমে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতালি। ৮ আগস্ট মঙ্গলবার বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে দূতাবাসের অভ্যর্থনা কক্ষে বঙ্গমাতা, শেখ কামালসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদণ্ডবীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরবর্তীতে এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসানের সভাপতিত্বে ও প্রথম সচিব অসিফ আনাম সিদ্দিকীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএম লোকমান হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা হোসনে আরা বেগমসহ ইতালি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং তাঁদের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগী সহযাত্রী হিসেবে বঙ্গমাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের অনুপ্রেরণার উৎস। একদিকে তিনি যেমন সংসারের হাল ধরেছেন, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের সময় সাহসকিতা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন কামাল সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বহুমাত্রিক এবং সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী এ ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত জীবন ছিল তাঁর অসামান্য অর্জনে সমৃদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর মতোই তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার আর নির্ভীক। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অভিযাত্রায় তাঁর প্রদর্শিত পথ, আদর্শ এবং দিক-নির্দেশনা আজও এক অনুকরণীয় মডেল। শেখ কামালের জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে, বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং দেশের জন্যে তাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও অনুকরণীয় জীবনাদর্শের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, ইতালিতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং নারী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।