প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
শিশিরে লুকিয়ে থাকে অশ্রু
অশ্রুতে উঁকি দেয় বিরহের সম্ভাবনা
সম্ভাবনা সত্যি হয়ে যায় পর্যাপ্ত অনুসন্ধানে
বাষ্পকণার ভূতল বরণে বিচ্ছেদ হয় সুনীলের সাথে।
শারদ-সুনীল পৌরাণিক মিথ বাঙালির কাছে
সরলা পল্লিবালাদের মনে জাগ্রত হয় তাতে বিজয়ার শক্তি
শিশিরের ভূতল-শয্যা নিছক কোন বিনাহেতু কর্ম নয়
চিরায়ত মহাকাব্যের আগমনী বার্তা সুনীল ও সফেদ কেতনে।
শিশিরে অশ্রু ঝরে কর্তিত মস্তকের
রক্তের অদৃশ্য নদী ছোটে ভগ্ন মৃত্তিকা-প্রতিমার হৃদয় হতে
বছরে একবার তারা আসে নীলাকাশে সাদা কাশের উৎসবে
শিশিরে কান পাতলে শোনা যায় তাদের সে কান্নার সুর।
শিশিরের শব্দ বাঙালির কাছে জীবনানন্দীয় মিথ
শিশিরের কান্না হয়ে আছে সাম্প্রদায়িকতার বাগধারা
শরৎকে হেলা-ছেদ্দা করে বাঙালি নিসর্গ-শোভায় পুলকিত হয়
অথচ শরতের মূল সৌন্দর্যের সম্প্রীতিকে সে নিষিদ্ধ করে আপন মৃত্তিকায়।
শরৎ ও শিশির যমজ যুগল। শরৎ ও শিশির নির্যাতিত সহোদর
সুনীল ও শুভ্রতায় শরৎ হাসলেও শিশিরে অশ্রু ঝরায়
শিশিরে লুকিয়ে আছে অনাদরের কষ্ট। শিশির প্রকট করে সংঘাত
শিশির লুকিয়ে রাখে সংখ্যায় নগণ্য হওয়ার দানবীয় উপেক্ষা।
শিশির নির্যাতিত শরতের নৈঃশব্দ বিজ্ঞাপন।