প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ০০:০০
বিমল কান্তি দাশের কবিতা
দহন ক্লান্ত সমাজ
সৃষ্টির প্রধান সেনাপতি,
সে তো হলো মানবজাতি।
প্রকৃতির চরম অধো-গতি পর্যায়,
উঠিতে চাহে সবাই সম্পদের চূড়ায়।
এ যুগের অনেক অবয়বিক মানুষ,
বে-মালুম হারিয়ে ফেলেছে স্বাভাবিক হুঁশ।
নৈতিকতা বিবর্জিত নেতাদের যত হুঙ্কার,
মানব সমাজটা দিনে দিনে হচ্ছে ছারখার।
মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে শুধুই ‘ম্যানেজ’ কৌশলে,
হায়রে মানুষ! কতই না অসহায় অমানুষের কবলে।
বন্ধুর বাতাবরণে দালাল পাশে বসে,
পশুও লজ্জা পাবে এ হেন বন্ধুর কপটতাকে।
পায়েতে শোভিত নূপুর অতিমূল্যবান,
ললাটে শোভিত টিপ স্বল্প মূল্যমান।
মানবতার শক্ত ভিত মৌলিক প্রাথমিক শিক্ষা,
এর ব্যত্যয় হলো কিশোর গ্যাং-এর দীক্ষা।
দিগম্বর
ক্ষমতায় থাকাকালে মিথ্যা কথাও হয় বাণী।
টাকা থাকলে এ যুগে মূর্খ হয়ে যায় জ্ঞানী ॥
শান্তি আজি নির্মূল, হয়েছে নিরাশ্রয়।
অশান্তি বেঁধেছে দানা যাহা অতি দুর্জয় ॥
দেশে মৌলিক বাল্য শিক্ষার প্রভূত অভাব।
তাইতো বেড়েছে দেশে কিশোর গ্যাং প্রভাব ॥
মৌলিক নৈতিকতা শিক্ষায় মাতৃভাষা যতটা অন্তর্ভেদী।
প্রাঞ্জল্য নীতিবোধের শিক্ষাটা সমধিক প্রয়োগী ॥
শোভামণ্ডিত ধরণীর যত কিছু বিস্ময়।
বিকশিত জ্ঞান চর্চায় সব কিছুর অভ্যুদয় ॥
এ যুগের অঘটন-ঘটন পটিয়সী যারা।
মৌলিক প্রাথমিক শিক্ষায় দিগ্ভ্রান্ত দিগম্বর তারা॥