প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
সুর
যখন নিভে গেল হারকেনের আলো
তাকে স্পষ্টই দেখতে পেলাম
চাঁদের ঠিক নিচে
করমচা গাছের ছায়ায়
বাগানের সমস্ত পাতা জিকিরে রত
বাতাসে লেগে লেগে সে ধ্বনি বহুদূর ছড়ানো
টের পাই আমার ভেতরে
কারো গুনগুন;
পুকুরের স্বচ্ছ প্রদাহ ভেঙে কুচা চিংড়ি
যেভাবে হেঁটে যায় শব্দরহিত,
এমন নিষ্কম্প সময়ে
স্নায়ুভেজা কিছু হাওয়া, কিছু আলো, কিছু সুর
বয়ে এনেছে রাতের মুশায়ের
শেমিজের ফুলগুলি
ঢেঁকিঘরজুড়ে হাসি ছড়িয়ে পড়েছে, আতপ চালের ঘ্রাণে মগ্ন নিশিগঞ্জ,
পাড়ে পাড়ে নাচছে কোমর
কেউ বসে থাকে আকুতি জাপটে ধরে- মনের ছাপচিত্রে
পাল্টে যায় হারিকেনের আলো
শেমিজের ফুলগুলি ফুটতে শুরু করেছে- প্রচ্ছদতট থেকে শোনা যায় মোহনদীর ধ্বনি
খাঁচায় চরকাটা হাঁস, একটু একটু করে শরীর বাঁকিয়ে দিচ্ছে সংঘাতের দিকে
ঝোঁপের নিবিড়তা ধরে আসক্তির স্রোত
এখানে দুপুর আসে
এখানে দুপুর আসে
ঠাণ্ডা পায়ে
হাঁটে ঘাসের উপর
ভেজা মুখ ও ঝুলে থাকা
চুলের উপর
হাওয়া বসে
কাঁপে হৃদয়
ও ঠোঁট
বক্ষপুটে কী এক
রাগিনী ফোটে
এই রোদ তালতলা
বেয়ে পৌঁছে গেছে
হলুদাভ গলিতে
পানের বাটার পাশে
রক্তজবা ঠোঁটের ঢেউ
ভাঙছে মনোভাব
পায়চারি
শুরু হয়ে যায়
গাবের ঘন জাংলায়
ফিসফিস ধ্বনি
মর্ম উজাড় করে
দোয়েলের শিস
পেরিয়ে যায়
পাতার সায়র
ঘাস ও লতাগুল্মের গায়ে
ঠিকরে পড়ছে
উজ্জ্বল কালো চোখ
এক সূচিসূক্ষ্ম
চাহনির ভিতর
স্থবির হয়ে আছে
বিমুগ্ধ গ্রাম