প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
স্নিগ্ধ দিনের কথা ভেবে নিভে গেলে
মুহূর্তে ওঠে জেগে নদীর খাড়ির পাশের কোন ছায়া
ঘোলা জলের ঘুরপাক অতলের তান,
ডাঙ্গা ভরা ল্যাংরার কাটা, অচেনা লতার ঝোপ।
জাফরান রংয়ের শাড়িতে শুয়ে যেন সাঁঝের আকাশ
ঘোরের ভিতরে রক্তের রেখা, শরীর জুড়ে শুধু জ্বর
মাঝে মাঝে একটু আধটু দূর সঙ্কেত, ভাবের বার্তা
ভর সন্ধ্যায় উড়তে উড়তে কেমন উড়ানি হাওয়া।
কী অনন্ত তৃষ্ণা বুকের ভিতরে, কোন পুরাণের কালে
অনসূয়া কি এসেছিল এইখানে!
শামুকে কাটা পায়ের দাগ, অত্রি দেখেনি একবারও
রাতভর হৃদয় দহন, দেহের ক্ষুধা, অন্য প্রেমিকা সে।
বুড়ো পৃথিবীর কথা অন্তরে গহীন গহ্বর তার,
স্বাদহীন মানুষের ইতিহাস, প্রেম নিমীল শূন্যতা
অনসূয়া বোঝেনি কোনদিন সেই বেগ
শুধু বেদনার ভাষা, বিনাশী মৃত্যুর সংকেত
ফুরানোর আগে জ্যোতিষ্কের বৃত্তের পথে
দূরে দীর্ঘতর ছায়া নিচের মাটিকে যায় যেন ছুঁয়ে।
তবুও কোন শব্দ, নিরব রাত্রির ঘ্রাণ, বুকের সবুজে,
অনসূয়া নেই,
কোন পুরাণের কালে, মিশে গেছে সে যেন নিবিড় আকাশে।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,ঢাকা। ৩ আশ্বিন ১৪৩০