প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০
স্তাবক রাজ্যে নিজেকেই দিই উপদেশ
যখন পৃথিবীর শূন্যতায় মানবতা নিরুদ্দেশ
রাস্তায় হোলিখেলা জীবনের ব্যয়ভার
শুদ্ধতায় পরীবনে উলঙ্গ নৃত্য শতবার।
সযতনে ঢেকে রাখি জীবনের সব রুদ্ধ দুয়ার
কুয়োর ব্যাঙ কুয়োতেই লাফালাফি বার বার
খুঁজে নিও- জীবন মানেই নয় হুইস্কি এক পেগ
নাস্তিক এই চিন্তাধারায় বাধ সাথে আষাঢ়ের মেঘ।
‘খোদা নেই’ বলে চিৎকার সারাবেলা
বিনিময়ে খোদার রাজ্যেই বসবাস করে তাহারা
নিত্য-নিয়ত খায় স্রষ্টার চুন-পান
তবু করে ঢাকঢোলে অন্যের গুণগান।
এই নিয়ে বাড়াবাড়ি হরতাল-অবরোধ ধ্যানে
কুটিল-জটিল সব চিন্তা; শান্তি নেই মনে
হায়, নির্র্বোধ বাবা ছাড়া এলো নাকি সংসারে?
কী পাথেয় তোমার, কী নিয়ে যাবে ওপারে!
যে বিজ্ঞান বানালো স্রষ্টায়, বানালো আগুন-পানি
সেই বিজ্ঞানে পূজিস তোরা! টানিস ইন্দ্রিয়ের ঘানি
খোদা নেই সংসারে, কে বলে হায়!
মনের মাঝে সে আছে, সেই তো পৃথিবীর চালায়।
কে সৃজিল তোর দু নয়ন, হাত-পা এমন সুন্দর করে
কে বানালো তোর শিরা-উপশিরা-মাংস-রক্তপি-ের পরে
কে দিলো তোর নবয-শরীরের পরে প্রাণ
পৃথিবীর সব শব্দ শোনার কে দিলো দুটো কান?
কে করবে মাটির কবরে আবার ভেঙ্গে খান খান?