প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
গতিময় বিশ্বে দাঁড়িয়ে থাকা মানেই পিছিয়ে যাওয়া। নিজের গতিকে যুগের গতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই অগ্রগতি। এ অগ্রগতিকে অর্জন করতে হলে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রতীক্ষায় সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে তার বাহন হলো বিজ্ঞান। শুধু যে বিজ্ঞান তা নয়। বরং এটি হলো অতি আধুনিক বিজ্ঞান। বাঙালির বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের আক্ষেপ হয়ে আছে প্রবাদপ্রতিম। সারাবছর চন্দ্রগ্রহণের বিজ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যাত কারণ ছাত্রদের পড়ানো হলো, শেখানো হলো এবং ছাত্ররাও তা পরীক্ষায় লিখে পাস করলো। কিন্তু তবুও চন্দ্রগ্রহণকালে শাঁখণ্ডকাঁসা বাজিয়ে চন্দ্রগ্রহণের কল্পিত ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টায় সারাদিন অভুক্ত রইল। এই হলো বাঙালির বিজ্ঞানমনস্কতা। ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসক হিসেবে চেম্বারে এমন কয়েকজন বিজ্ঞান শিক্ষককেও রোগী হিসেবে পেয়েছি, যারা অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে কিংবা দাঁতের ব্যথা হতে উপশম পাওয়ার ইচ্ছেয় হাতে বা কোমরে স্বপ্নে পাওয়া তাবিজ বেঁধে রেখেছেন। আবার জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে প্যাঁচার চোখের মতো কটকটে হলুদ চোখের রোগীও চেম্বারে এসে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে বসে মাথায় পানি ঢেলে পালং (জন্ডিস) ধোয়ায়। বাঙালি এরকমই বিজ্ঞানমনস্ক। ঠিক এ কারণেই আমাদের বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়ের ওপর গবেষণা হচ্ছে কম, গবেষক আমরা পাচ্ছি না মোটেই। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মোকাবেলায় আমাদের কী পরিমাণ হ্যাপা পোহাতে হয়েছে তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন। স্রষ্টার দোহাই দিয়ে অনেকেই বেপরোয়া যেমন চলেছেন, তেমনি অন্যদের আতঙ্কেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শুরুর দিকে কোভিড ভ্যাক্সিন নেওয়ার লোকই পাওয়া যায়নি কেবলমাত্র বিজ্ঞান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করার কারণে।
একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মনে করতো সাতঘোড়ার রথে সূর্যকে টেনে পশ্চিম হতে পূর্বে নেয় বলেই সূর্য উঠে ও দিন হয় এবং সাত ঘোড়ার রথ পূর্ব হতে পশ্চিমে সূর্যকে টেনে নিয়ে যায় বলেই রাত হয়। অথচ এ জাতির মধ্যেই আমরা পেয়েছি প্রতিভাধর বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে, যিনি আবিষ্কার করেছেন সমতল তরুলিপি যন্ত্র। প্রমাণ করেছেন, গাছেরও জীবন আছে এবং গাছের বৃদ্ধি মাপতে তিনি বানিয়েছেন ক্রেস্কোগ্রাফ। কেবলমাত্র পেটেন্ট না করার কারণে রেডিও আবিষ্কার করেও জগদীশ চন্দ্র বসু তার জনক হতে পারলেন না। বাংলা মায়ের আরেক রত্ন-সন্তান বিজ্ঞানী সত্যেন বোস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আলবার্ট আইনস্টাইনের ভুল সংশোধন করে পরমাণুর সংখ্যায়ন তত্ত্বকে শুদ্ধ করেছিলেন। এ কারণে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সেই তত্ত্বের নাম দেন ‘বোস-আইনস্টাইন সংখ্যায়ন তত্ত্ব’। সেই তত্ত্বের সূত্র ধরেই আজ আবিষ্কৃত হয়েছে ঈশ্বরকণা।
বাঙালিকে বিজ্ঞানের পথে ধাবিত করার সবচেয়ে বড় বাধা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, যেখানে সামাজিক নেতারা সবাই বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কহীন। আমাদের সামাজিক নেতারা প্রজন্মকে বিজ্ঞানের পথে আগ্রহ সৃজনের চেয়ে বরং কুসংস্কার লালনে প্ররোচিত করেন বেশি। ফলে যে পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রির সনদ অর্জন করেছে, সে আবার লক্ষ লক্ষ মাইল দূরের চাঁদে পৃথিবীর মানুষেরও প্রতিচ্ছবি দেখতে পায় এবং দৃশ্যমান ব্যক্তির পরিচয়ও শনাক্ত করতে পারে খালি চোখে। অদ্ভুত! বাঙালি বড়ই অদ্ভুত।
এই ডিজিটাল যুগে বিজ্ঞান সম্ভূত তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের কী পরিমাণে সহযোগিতা করেছে তা বলা বাহুল্য। জীবাণুর ঘায়ে গৃহে অন্তরীণ থেকে আমরা জুম বা স্টিমইয়ার্ডের মাধ্যমে সারাবিশ্বের সাথে যুক্ত থাকতে পেরেছি। কাজেই এ অবস্থানে থাকার পরও যখন বিজ্ঞানমনস্কতার আড়ালে আমরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রজন্মের বোঝা তৈরি করছি তখন আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবতেই হবে।
'আমি হাঁটি না মাটি আমাকে হাঁটায়, পেছনের পা-ই সামনে এগিয়ে দেয় কিংবা একটি গাছের কয়টি প্রাণ' এমন সব বুদ্ধিদীপ্ত জিজ্ঞাসা দিয়ে যে বিজ্ঞান শিক্ষা সূচিত হতো এক সময়, তাতে আজ ভর করেছে জিপিএ ফাইভের ভূত। ফলে বিজ্ঞানচিন্তা বাদ দিয়ে মুখস্থ করে নম্বর বাগানোর প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে বার বার। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষার্থী নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে।
বিজ্ঞান নিয়ে শিক্ষার চেয়ে আমাদের ভাবনা অধিক জরুরি। পাড়ায় পাড়ায় বিজ্ঞান ক্লাব গড়ে তুলে নিয়মিত বিজ্ঞান বিষয়ক বিতর্ক ও বক্তৃতার আয়োজন করতে হবে। মাসে-দুমাসে একবার কোন বিজ্ঞান-বক্তার বক্তব্য শোনানো উচিত যাতে চিন্তার সক্ষমতা তৈরি হয়। বিজ্ঞানের প্রতি প্রেম সৃষ্টি করতে হলে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার নিয়ে পাঠচক্র করা দরকার। তাত্ত্বিকের পাশাপাশি বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তুলতে হলে ব্যবহারিক বা হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান-চিন্তাকে প্রগাঢ় করতে হবে।
চারদিকের যত চমৎকার, তার সকল কিছুকেই শিক্ষার্থীরা যাতে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারে তার জন্যে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। জটিলতা নয়, সরলতা দিয়েই বিজ্ঞানকে জয় ও জনপ্রিয় করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ঘটনা সহজে মেনে না নেয়। নিজে নিজে বিশ্লেষণ করে যাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'কেন'কে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। যদি আপেল কেন মাথায় পড়লো এ 'কেন'র উদ্ভব না হতো তবে আমরা মাধ্যাকর্ষণ বলকেই ব্যাখ্যা করতে পারতাম না। মস্তিষ্কের নিউরনে ঝড় না তুলতে পারলে নতুন কিছুকেই জানা হবে না। নতুনকে জানার ইচ্ছেটাই বিজ্ঞানে মুখ্য। ডাবের ভেতর কেন পানি থাকে এ প্রশ্নের উদ্রেক মনের ভেতর না হলে প্রকৃতি শূন্যতা পরিহার করে, এ সত্য জানা হবে না। আর প্রকৃতি শূন্যতা পরিহার করে বলেই নিম্ন চাপ তৈরি হয়; এ সত্য না জানলে ঘূর্ণিঝড়কে অদৃষ্টের অভিশাপ বলেই মানুষ মেনে নিতো আজও। কাজেই নিজেকে নিজে প্রশ্ন করতে করতে উপযুক্ত উত্তর না পাওয়া অব্দি না থামাই হলো বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মূল সূতিকাগার।
আমাদের ধারণার মধ্যে ঢুকে আছে প্রশ্ন না করার সংস্কৃতি। প্রশ্ন করা মানেই বাঙালি বোঝে সংশয় তৈরি হওয়া। সংশয় তৈরি হওয়া মানেই বিশ্বাসকে দুর্বল করে তোলা। কিন্তু এটা কারও মাথায় থাকে না, প্রশ্ন না হলে নতুনকে জানার ও আলোয় আনার সুযোগ তৈরি হয় না। পাখি কেন ওড়ে সে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল বলেই মানুষ বুঝতে পেরেছে, উড়তে হলে বাতাসের চাপকে জয় করতে হবে। পাখি তার প্রসারিত ডানা দিয়ে বায়ুচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই পাখি উড়ে চলে আকাশে। মানুষের মনে পাখি উড্ডয়ন দেখে কৌতূহলের উদয় না হলে উড়োজাহাজ আলোর মুখ দেখতো কি না তা প্রশ্নাতীত ছিলো না।
অবিজ্ঞানের কারণেই আমরা আজও গ্রামে-গঞ্জে-নগরে-বন্দরে সন্তান ছেলে বা মেয়ে হওয়াকে কেন্দ্র করে নারীর বা মায়ের ওপর দোষ বর্তাই। অথচ বিজ্ঞান আমাদের অনেক আগেই নির্ণয় করে দিয়েছে, বাবার এক্স বা ওয়াই ক্রোমোজমই সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। আজকাল গবেষণা বলছে, গর্ভের সন্তান মায়ের মেধা অর্জন করে। এবং এটা প্রায় প্রমাণিত হয়েই গেছে। কাজেই মেধাবী প্রজন্ম পেতে হলে মায়েদের যেমন যত্ন নেয়া জরুরি তেমনি মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে তোলা জরুরি। নচেৎ যত চেষ্টা করাই হোক, প্রজন্মের উৎকর্ষ সাধন হবে না। আমাদের দেশে প্রতি বছর বিজ্ঞান বিভাগ হতে অগণন সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ পাঁচ পেয়ে পাস করে। তখন মনে হয়, আকাশের জ্যোতিষ্কম-লি সবই মাটিতে নেমে এসেছে মেধাবীদের ওপর ভর করে। কিন্তু উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তির সময় এইসব জ্যোতিষ্কম-লির জ্যোতি সম্পূর্ণই নিভে যায়। তখন বুঝি, এ আলোয় নিজস্বতা নেই। এটা নিছক সনদের আলো, বিজ্ঞানের জ্যোতি নয়। ঠিক এ কারণেই আমাদের দেশে বিজ্ঞান শিক্ষা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। আমরা পদার্থ বিজ্ঞান থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর হয়ে সবাই ব্যাংকের ম্যানেজার হচ্ছি, নয়ত পুলিশে-প্রশাসনে কিংবা ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির চাকরি করছি। কেউ গবেষণায় বা বিজ্ঞান ভাবনায় নিজেকে আর জড়াচ্ছি না। বাংলাদেশে বেসিক সায়েন্স তথা মৌলিক বিজ্ঞানের গবেষণাকে জনপ্রিয় করে তুলতে না পারলে আমাদের জিপিএ নির্ভর বিজ্ঞান শিক্ষা কেবল বোঝা হয়ে উঠবে ভবিষ্যতে। বৈদ্যুতিক বাল্বের আবিষ্কর্তা টমাস আলভা এডিসন, স্নায়ু বৈকল্যে ভোগা আলবার্ট আইনস্টাইন কিংবা পাটিগণিতের আবিষ্কর্তা যাদব বাবুদের কেউই স্কুল-কলেজে ফেল না করে বড় হননি। তাঁরা ফেল করেছেন গড়পরতা পড়াশোনায়, কিন্তু নিজেদের আগ্রহের বিষয় তথা বিজ্ঞান দিয়ে তাঁরা আজ নাড়িয়ে দিয়েছেন পৃথিবী। সুতরাং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী তৈরি করলেই যে বিজ্ঞান শিক্ষা বা বিজ্ঞান চর্চা ফলপ্রসূ হবে তা নয়। বিজ্ঞান চর্চাকে ফলপ্রসূ করতে হলে আমাদের দরকার বিজ্ঞানে নিবেদিত মেধাবীদের। একজন হরিপদ কাপালি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও কেবলমাত্র সহজাত বিজ্ঞানমনস্কতা ও ফলিত বিজ্ঞানের কারণে নিজের পর্যবেক্ষণ শক্তির বদৌলতে আবিষ্কার করেছেন হরি ধান। একজন আরজ আলী মাতুব্বর আত্ম জিজ্ঞাসাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন বলেই আজ তাঁর বইগুলো হয়ে উঠেছে সবার আগ্রহের বস্তু। বিজ্ঞান যাকে পেয়ে বসে তিনি নিউটনের মতো জ্ঞান চর্চায় মগ্ন হয়ে চারদিক আত্ম বিস্মৃত হন এবং হাতের ঘড়ি খুলে ডিমের পরিবর্তে তা-ই সিদ্ধ করতে দিয়ে দেন। বিজ্ঞান-নিমগ্নতার এটাই প্রকৃত চিত্র।
সেই আবহমানকাল হতেই এই উপমহাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষায় সবচেয়ে বড় বাধা হলো আধ্যাত্মিকতা। এ ভূমি আধ্যাত্মিক চর্চার জন্যে অত্যন্ত উর্বর। ঠিক এ কারণেই শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিজ্ঞান চর্চা এখানে বটবৃক্ষের ছায়ায় পড়ে থাকা ক্ষুদ্র তৃণের মতোই উপেক্ষিত ও অনুন্মীলিত। অথচ বিজ্ঞানের প্রথম শর্তই হলো সমস্যা উত্থাপন ও তা প্রমাণের জন্যে যৌক্তিক পথে এগিয়ে যাওয়া। সূর্য ও চন্দ্রকে উপাস্য ভেবে যে ভূমিতে দিন শুরু হয় এবং দিবস উদযাপিত হয়, ঘূর্ণিঝড়কে যে ভূমিতে স্রষ্টার গজব ভেবে তাঁর সন্তুষ্টির জন্যে দিনাতিপাত করা হয়, সে ভূমিতে বিজ্ঞান যে কলি থেকে ফুল হয়ে ফুটবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ এদেশের মেধাবীরা পাশ্চাত্য বা দূর প্রাচ্যে গিয়ে বিশ্বের সেরা তরুণ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান করে নিচ্ছে অনায়াসে।
এদেশে বিজ্ঞানের ফলপ্রসূ চর্চার আবাদ করতে হলে মুক্তবুদ্ধির চর্চার বিপ্লব ঘটাতে হবে। শিক্ষার্থীর মস্তিষ্ক হতে পূর্ব-কুসংস্কার হঠাতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্মের চিন্তারাজ্যে মুক্তবুদ্ধির বীজ উপ্ত করতে না পারলে বিজ্ঞান শিক্ষাকে ফলপ্রসূ করার প্রয়াস হবে অরণ্যে রোদনের শামিল। কেবল সনদ নির্ভর শিক্ষা দিয়ে সেই মহৎ উদ্দেশ্যকে সফল করা যাবে না। তার জন্যে চাই সামাজিক আন্দোলন। বিজ্ঞানকেন্দ্রিক অলিম্পিয়াডের মতো আন্দোলন ও আয়োজনকে যতবেশি ঘরে ঘরে জনপ্রিয় করে তোলা যাবে, ততবেশি আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বুদ্ধির মুক্তি ঘটবে। বাঙালির বুদ্ধির মুক্তি ঘটানো গেলেই কেবল বিজ্ঞানের উর্বরভূমিতে পরিণত হবে এ পলিসমৃদ্ধ জনপদ।