প্রকাশ : ২১ জুন ২০২২, ০০:০০
শূন্যতার সম্ভাব্যতা
জলেডোবা মানুষ
খড়কুটো ধরে বাঁচে
অথবা
বাঁচার চেষ্টা করে প্রাণান্ত
‘জলেডোবা’ আমিও এর-ওর হাত ধরে
বেঁচে গেছি বহুবার
কে যেন বারবার
বাঁচিয়ে দেয় আমায় অসীম দক্ষতায়
যাত্রা-নাটকের প্রম্পটারের ভূমিকায়
কে যেন আমায় শুধিয়ে দেয়
বাঁচার সংলাপ
এ ভাবে বাঁচতে বাঁচতে পেরিয়েছি
বয়সের অর্ধশতক
তবু ব্যাটস্ম্যানের মতো ব্যাট উঁচিয়ে
জানাতে পারিনি আত্মসক্ষমতার খবর
তাহলে কি আমি অন্তর্গতভাবে
শূন্য দিয়ে গুণ করা গুণফল মাত্র!
উৎসমূলের বিধিমতে, কিছু নেই, কেউ নেই
আমাদের; ‘কা তব কান্তা’
নৃতাত্ত্বিক পুরাণে, চূড়ান্ত গণিতে
আমরা ‘নিঃসঙ্গ শেরপা’
শূন্যতলে মিলিয়ে যাওয়া
ভেসে আসা বিন্দুজল
আমাদের চূড়ান্ত গতিমুখও
সম্ভাব্য শূন্যে; শূন্যতার সম্ভাব্যতায়
শূন্যপথের যাত্রীরা
শেষমেশ কোথায় হারিয়ে যায় কে জানে!
মুহাম্মদ জাকির হোসেন : মতলব সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, কবি
ও প্রথম আলোর সাংবাদিক। রচনাকাল : ১৮ জুন ২০২২ খ্রি., ৩১৯, দঃ কলাদী, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর।