প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
মর্মজয়ী এই ছবিটার
মর্ম যারা জানে
তাদের দুচোখ সাগর সেঁচে
অশ্রুধারা আনে।
মার্ক ছিল তার মনিব যে জন
গান বানাতো নিজে
গ্রামোফোনে শুনলে সে গান
হৃদয় যেতো ভিজে।
ফ্রান্সিস হলো অনুজ ভ্রাতা
চিত্র আঁকায় পাকা
দুই ভাইয়েরই এক পরিবার
ভালোবাসায় মাখা।
'নিপার' নামের কুকুর ছিল
মার্ক হলো তার প্রভু
মনিবকে সে রাখতো চোখে
যেতো না দূর কভু।
বজ্র এলো বিনা মেঘে
মার্ক গিয়েছে চলে
মরার আগে ফ্রান্সিসকে
সব গিয়েছে বলে।
সেদিন হতে ফ্রান্সিসকে
পেলো নিপার পাশে
কিন্তু তবু দুই চোখে তার
মার্কের মুখ ভাসে।
নেয় না কিছু খায় না কিছু
বারান্দার এককোণে
হাড়-কঙ্কাল কুকুর যেন
মরবারই দিন গোণে।
হঠাৎ সেদিন গ্রামোফোনের
ঝাড়লো ধুলোবালি
ফ্রান্সিস তার বড় ভাইয়ের
বাজায় গানের ডালি।
সেই রেকর্ডে তার মনিবের
চেনা গলার স্বরে
লাফ মেরেছে গ্রামোফোনের
চোঙ্গা-মুখের পরে।
মাইকের ভেতর মুখ ঢুকিয়ে
মার্কের মায়া পেয়ে
নিপার কেবল দুচোখ খুলে
থাকতো চেয়ে চেয়ে।
এই ঘটনা দেখার পরে
রঙ-তুলিদের আঁকে
চোখের মায়ায় মনের রঙে
ফ্রান্সিস ধরে রাখে।
এর কিছুদিন পার হয়ে যায়
নিপার অবশেষে
মার্কের মতো আকাশে যায়
লুকায় নিরুদ্দেশে।
গ্রামোফোনের কোম্পানীরা
এর কিছুদিন পরে
লোগোর জন্যে ছবি খোঁজে
বিজ্ঞাপনের স্বরে।
ফ্রান্সিস তার ছবিটাকে
পাঠিয়ে দেয় ডাকে
পরিচালক কেহ একজন
বাতিল করে রাখে।
কিন্তু আবার অন্যজনের
পড়ল চোখে ছবি
আনলো ডেকে ফ্রান্সিসকে
রঙের যে জন কবি।
ধন্য করো ব্যাখ্যা করে
এ ছবিটার মর্ম
তবেই কেবল রাখতে পারি
তোমার শিল্পকর্ম।
ব্যাখ্যা শুনে দুফোঁটা জল
দুচোখ হতে পড়ে
ছবিটাকে গ্রামোফোনে
নিলো আপন করে।
ছবির গল্পে পাল্টে গেলো
কোম্পানিটার চয়েস
নাম রেখেছে নূতন করে
হিজ মাস্টার্স ভয়েস।