রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩, ০০:০০

যে আমলে দীর্ঘ হয় মানুষের হায়াত
অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘ হায়াত পাওয়া একটি বড় নেয়ামত। কেননা মুমিন ব্যক্তির হায়াত বেশি হলে অনেক নেক আমল যোগ হয়। ইসলামে এমন কিছু সহজ আমল আছে, যার মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

তন্মধ্যে দীর্ঘ হায়াত পাওয়াও একটি। এমন কি আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে দীর্ঘ হায়াত পাওয়া যাবে?

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতের আমল। কোরআন-সুন্নাহর একাধিক জায়গায় এ সম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখলেও মানুষ দীর্ঘ হায়াত পায়। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং দীর্ঘ হায়াত পাক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।‘ (বুখারি ৫৯৮৫, মুসলিম ৪৬৩৯)

এ কারণেই দৈনন্দিন জীবনে ওঠাণ্ডবসা, চলাফেরা, দেখা-সাক্ষাতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের পারস্পরিক খোঁজ খবর রাখা জরুরি। তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা, তাদের সঙ্গে আন্তরিক হওয়া ও আত্মীয়-স্বজনকে দয়া-মায়া দেখানোই হলো সুসম্পর্ক। এই সুসম্পর্ক রক্ষাকারী প্রকৃতপক্ষে কারা, তাদেরকেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে হাদিসে। হাদিসে পাকে এসেছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ...নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী নয়। বরং আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী সে ব্যক্তি, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হবার পরও তা বজায় রাখে।’ (বুখারি: ৫৯৯১)

অর্থাৎ সে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী নয়, যে সম্পর্ক রক্ষার বিনিময়ে সম্পর্ক রক্ষা করে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক রক্ষাকারী সেই ব্যক্তি, যার সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরলে সে তা জোড়া দেয়।

এ জন্য নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ হলো-

...আর আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে থাকো এবং আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।’ (সুরা নিসা: আয়াত ০১) সুতরাং সবার উচিত, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা। হাদিসের ওপর আমল করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের হায়াত ও রিজিক বৃদ্ধিতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়