বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

স্যারের জন্য ভালোবাসা
জি এম সাইফুল

আমাদের স্যার কি সত্যিই চলে গেলেন? তারুণ্যদীপ্ত, সমাজসংস্কারক, জ্ঞানপিপাসু একজন প্রগতিশীল মানুষ আটাত্তরেই চলে গেলেন। আমার কাছে এখনো অবিশ্বাস্য লাগছে।

বয়স একটা সংখ্যা মাত্র, এটা ওনাকে দেখলেই উপলব্ধি করতাম! বলতেন, বাঁচতে চান অনেক বছর। জানতে চান আরো অনেক কিছু। নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন সদা একজন তরুণের মতো করে।

বইপাগল একটা মানুষ, সময়ের সাথে সাথে বই আর প্রযুক্তিকে সমন্বয় করে নিয়েছিলেন। নিজেকে কখনোই কোন সীমাবদ্ধতার মাঝে বন্দি করে রাখেননি। তিনি ছিলেন একজন আধুনিক মানুষ। সরব ছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। প্রতিনিয়ত জানতে চাইতেন আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কার সম্পর্কে।

বার্ধক্য ওনাকে মোটেও ছুঁতে পারেনি। তিনিই আমাদের পড়াতেন, ‘বার্ধক্য তাহাই যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে, মৃত্যুকে আকড়াইয়া পড়িয়া থাকে’।

এই অঞ্চলের ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করে এটা তিনি প্রমাণ করেছেন বয়স যে কোনো বাধা হতে পারে না। শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে তিনি কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে। অনুষ্ঠানের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নিজে করেছেন, না হয় নিজে তত্ত্বাবধান করেছেন। এতো সাজসজ্জা, এতো অনাড়ম্বর আর উৎসবমুখর অনুষ্ঠান বাবুরহাটবাসী তাঁর নেতৃত্বগুণেই উদযাপন করতে পেরেছে!

অসুস্থ হয়েছেন, আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। মনোবল হারাননি কখনোই। তাইতো ভাবতে পারেনি তিনি হঠাৎ করেই চিরদিনের জন্য চলে যাবেন।

এতো বড় একজন মানুষ চাইলেই জীবনে অনেক বিত্তবৈভবের মালিক কিংবা দাম্ভিকতা নিয়ে চলতে পারতেন। চাইলেই আদর্শচ্যুত হতে পারতেন। পারতেন এমপি কিংবা মন্ত্রী হতে। তা না করে মুক্তিযুদ্ধের এই মহান সংগঠক, সারাটা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন অতি স্বাভাবিক এবং সাধারণের মতো করে।

তাঁর অসীম জ্ঞান আর অতি সাধারণ জীবনযাপন তাকে প্রতিনিয়ত করেছে মহিমান্বিত এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয়। পাশাপাশি তাঁর সততা, সরলতা, রাজনৈতিক স্বচ্ছতা, দূরদর্শিতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা তাকে প্রতিষ্ঠিত করছে একটা জনপদের মহানায়ক হিসেবে। তিনি আমাদের বাবাদের, আমাদের এবং বর্তমান প্রজন্মের নায়ক। তাঁকে যথাযথভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাকে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে।

‘শহীদ উল্লাহ মাস্টার’ শুধু একটা নাম নয় একটা প্রতিষ্ঠান, যা আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এবং ছড়িয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবেন তার অগণিত ভালোবাসার মানুষের মাধ্যমে।

আসুন ওনার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ওনাকে সর্বদা আমাদের প্রার্থনায় রাখি। আমার বিশ্বাস, মহান আল্লাহ ওনাকে পরপারে শান্তিতে রেখেছেন।

জি এম সাইফুল : শহীদ উল্লাহ মাস্টারের ছাত্র।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়