সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

প্রবাসে বাঙালি শিক্ষার্থীদের বাংলা শিক্ষা দেয়া জরুরি
অনলাইন ডেস্ক

প্রবাসে বাঙালি শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা বাংলা শিক্ষা প্রদানে যতো শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন তাদেরই একজন দিলরুবা জামান। ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে প্রবাসে বাংলা ভাষা ছড়িয়ে দিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রবাসে বাঙালিদের অধিকার আদায়ে সোচ্ছার এই প্রবাসী বাঙালি নারী। সম্প্রতি তিনি চাঁদপুর কণ্ঠের শিক্ষাঙ্গনের মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লেখক ও সাংবাদিক জমির হোসেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

দিলরুবা জামান : আলহামদুলিল্লাহ সকলের দোয়ায় সুস্থ ও ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা পেশায় কিভাবে এলেন?

দিলরুবা জামান : যখন জানতে পারলাম ভেনিস বাংলা স্কুলে একজন শিক্ষিকা প্রয়োজন তখন স্কুল কমিটির সাথে যোগাযোগ করি এবং আমার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করি। তারা আমার আগ্রহ দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন এবং আমাকে যোগ দেয়ার জন্যে বলেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন কেমন কেটেছে?

দিলরুবা জামান : খুবই আনন্দের ছিলো দিনটি। কারণ প্রবাসে জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠা বাচ্চাদের বাংলা ভাষা শিক্ষা দেয়া একজন শিক্ষিকা হিসেবে আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। তাদের বাংলা ভাষা শিক্ষা না দিলে প্রবাসে বাংলা ভাষা হারিয়ে যাবে বলে মনে করি। অনেক ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের দেখে আমার মনে হল আমি বাংলাদেশের কোনো একটা স্কুলে আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ছাত্রজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।

দিলরুবা জামান : ছাত্রজীবনের দিনগুলো পড়ালেখা খেলাধুলা এবং সহপাঠীদের সাথে সময় কাটানো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনাদের সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে কী পার্থক্য লক্ষ্য করেন?

দিলরুবা জামান : বর্তমান সময়ে শিক্ষাব্যবস্থার সাথে আগের শিক্ষাব্যবস্থার পার্থক্য রয়েছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি শিক্ষামন্ত্রী হলে বিশেষ যে তিনটি কাজ করতেন?

দিলরুবা জামান : অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়ালেখা এবং বই সরবরাহ করতাম। প্রবাসে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী সন্তানদের জন্যে প্রবাসী বাংলা স্কুলগুলোকে সার্বিক সহায়তা ও উৎসাহিত করতাম। স্কুলে পড়ালেখা মানসম্মত করা, কোনো রকম (টাকার বিনিময়) ভর্তি পরীক্ষা থাকবে না যাতে করে গরিব ছেলে মেয়েরা পড়ার সুযোগ-সুবিধা পায়। তাছাড়া লটারির মাধ্যমে ভর্তি ব্যবস্থা করতাম।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষার্থীদের জন্যে খেলাধুলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

দিলরুবা জামান : খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ খেলাধুলার মাধ্যমে মন এবং শরীর সতেজ ও সুস্থ থাকে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বিদ্যানিকেতনটি সম্পর্কে কিছু বলুন।

দিলরুবা জামান : ২০০৬ সালে ইতালিতে প্রথম জন্ম নেয়া এ ভেনিস বাংলা স্কুল। আমাদের ভেনিস বাংলা স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা পাশাপাশি তাদেরকে প্রতি দিন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত এবং নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হয়। প্রতি বছর ভ্রমণ ও পিকনিকের ব্যবস্থা করা হয়।

ভেনিস বাংলা স্কুল প্রতি বছর ক্রিকেট টুর্নামেন্টেসহ বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা করে থাকে। ইতালিয়ান স্কুলে যারা ভালো রেজাল্ট করে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়, ইতালিয়ান স্কুলের কম্পিতি (হোমওয়ার্ক) করানো হয়, ইতালিয়ান নূতন আসছেন তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে ইটালিয়ান স্কুলে ভর্তি করতে সহায়তা করা, মহিলা ও পুরুষদের জন্যে ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করা, সকল জাতীয় অনুষ্ঠান পালন করা ও অংকন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা এবং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা। আমাদের বাংলাদেশীসহ বিদেশিদের বিভিন্ন সমস্যায় এগিয়ে আসাই এই স্কুলের প্রধান কাজ। প্রবাসীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিয়ে মাঠে নেমে অগ্রাধিকার ভূমিকা পালন করা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় ছাত্র কারা? কেনো প্রিয়?

দিলরুবা জামান : স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী আমার অনেক প্রিয় এবং তাদের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করে। সবাই শিক্ষকদেরকে অনেক সম্মান করে এবং ঠিকমত পড়ালেখা করে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা জীবনের একটি আনন্দের ঘটনা বলুন।

দিলরুবা জামান : শিক্ষার্থীরা ম্যাডাম ডাকার সময় ভুলে যখন ‘মা’ ডাকে তখন আমি একজন শিক্ষক ও মায়ের ভূমিকায় থাকতে অনেক ভালো লাগে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়