শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২১, ০০:০০

দায়িত্ব ও ভালোবাসা বোধ থেকে শিক্ষকতা পেশায় এসেছি
অনলাইন ডেস্ক

ছালেহা আক্তার। তিনি চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। সম্প্রতি শিক্ষাঙ্গনের মুখোমুখি হন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফিরোজ আলম।

শিক্ষাঙ্গন : কেমন আছেন?

ছালেহা আক্তার : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

শিক্ষাঙ্গন : শিক্ষকতা পেশায় কিভাবে এলেন?

ছালেহা আক্তার : অনেকটা দায়িত্ব ও ভালোবাসা বোধ থেকে শিক্ষকতা পেশায় এসেছি। তাছাড়া আমার বাবার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে এ পেশায় আসা।

শিক্ষাঙ্গন : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন কেমন কেটেছে?

ছালেহা আক্তার : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন খুব ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে গেছে। যোগদানপত্র দাখিল করে সকলের সাথে পরিচিত হলাম। উদ্বোধনী ক্লাসে যাওয়া এবং ক্লাস নেয়ার অনুভূতিটা ছিলো প্রত্যাশিক কিছু পাওয়ার তৃপ্তি। তাছাড়া প্রথমদিন ছাত্রছাত্রীদের কাছে নিজেকে শিক্ষক হিসেবে উপস্থাপনের অনুভূতি যা ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না।

শিক্ষাঙ্গন : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন?

ছালেহা আক্তার : আমার শিক্ষাজীবন একটু ভিন্ন রকম। বাবা সরকারি চাকুরীজীবী হওয়ায় ছাত্রজীবন বিভিন্ন জায়গায় কেটেছে। আমার স্কুল জীবন কেটেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। সেখানে বাঁশখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করি। এইচএসসি কক্সবাজার সরকারি কলেজে, স্নাতক (পাস) পঠিয়া সরকারি কলেজে এবং সবশেষে ”ট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএসএস সম্পন্ন করি।

শিক্ষাঙ্গন : আপনাদের সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা এবং বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করেন?

ছালেহা আক্তার : আমাদের সময়ে শিক্ষাব্যবস্থা ছিলো গতানুগতিক ও মুখস্থনির্ভর। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণ, এমনকি ডিজিটাল কোনো সুযোগ ছিল না। সেদিক থেকে এখনকার শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটাই আধুনিক।

শিক্ষাঙ্গন : আপনি শিক্ষামন্ত্রী হলে বিশেষ যে তিনটি কাজ করতেন?

ছালেহা আক্তার : প্রথম যে কাজটা করতাম সেটা হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণের সাথে সাথে জাতি গড়ার কারিগরদের যথাযথ সম্মান দেয়ার সুযোগ তৈরি করা। দ্বিতীয়ত : পরীক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনা এবং তৃতীয়ত : সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

শিক্ষাঙ্গন : শিক্ষর্থীদের জন্য খেলাধুলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ছালেহা আক্তার : খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা- শিক্ষার্থীদের শারিরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন না করে খেলাধুলা ও সহ-পাঠক্রমিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করলে বর্তমানে সামাজিক মূল্যবোধের যে অবক্ষয় ছাত্র-সমাজকে গ্রাস করছে তা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

শিক্ষাঙ্গন : এ বিদ্যানিকেতনটি সম্পর্কে কিছু বলুন?

ছালেহা আক্তার : মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সুনাম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রয়েছে। এ বিদ্যাপীঠ বহুগুণী ব্যক্তির পদচারণায় মুখর ছিলো। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়ে সেই গৌরব ও সুনামের কিছুটা অংশীদার হতে পেরে আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি।

শিক্ষাঙ্গন : শিক্ষকতা জীবনের একটি আনন্দের ঘটনা বলুন?

ছালেহা আক্তার : আমার এই ২৬ বছর শিক্ষকতা জীবনে অনেক ঘটনা আছে। প্রাক্তন ছাত্ররা যখন প্রতিষ্ঠানে এসে খোঁজখবর নেয়, তখন মনটা আনন্দে ভরে যায়। সে মুহূর্তটা যে কত আনন্দের তা বলে বোঝানো যাবে না।

শিক্ষাঙ্গন : আপনাকে ধন্যবাদ।

ছালেহা আক্তার : আপনাকে শুভেচ্ছা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়