প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
সামিয়া ইসলাম। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বপ্ন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হয়ে সর্বস্তরের মানুষের সেবা করা। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
সামিয়া : আলহামদুলিল্লাহ্! বেশ ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
সামিয়া : আমি ৯ম শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তার সম্পর্কে কিছু বলো।
সামিয়া : স্কুলের সব স্যারদেরই আমি পছন্দ করি। তবে যদি কারো নাম উল্লেখ করতে হয়, তাহলে মাইনুল ইসলাম ও টিপু স্যারের কথা বলতে হয়। তিনি আমাদের ‘আইসিটি’ পড়ান। তথ্যপ্রযুক্তির জটিল সব বিষয়গুলোকে তিনি অত্যন্ত সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষায় আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন এবং কম্পিউটার ল্যাবে আমাদেরকে ব্যবহারিক কাজ দেখিয়ে দেন। স্যারের বাচনভঙ্গি আমাদের সবসময়ই মুগ্ধ করে।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তার সম্পর্কে কিছু বলো।
সামিয়া : ক্লাসের সব সহপাঠীই আমার খুব ভালো বন্ধু। সব বন্ধুকেই আমি পছন্দ করি। তবে মহিমার সাথে আমার সখ্যতা সবচেয়ে বেশি। সে আমার একাকিত্বে সঙ্গ দেয়। তাঁর সততা ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
সামিয়া : হ্যাঁ, আমি খেলাধুলা করি। ক্রিকেট ও লুডু আমার প্রিয় খেলা।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
সামিয়া : আমি অবসর সময়ে ছবি আঁকি ও আম্মুকে রান্নার কাজে সাহায্য করি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
সামিয়া : আমি লক্ষ্য করেছি, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের কাছাকাছি থাকতে পারে সবচেয়ে বেশি। সরকারি সেবাকে যত বেশি সম্ভব জনবান্ধব করা যাবে, মানুষের ভালোবাসা পাওয়াটা তত সহজ হবে। তাই আমি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সৎ কর্মকর্তা হয়ে মানুষের ভালোবাসা অর্জনের স্বপ্ন দেখি।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
সামিয়া : গল্প ও কবিতা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ছোটো গল্প ও কমেডি নাটক পড়তে আমার বেশি ভালো লাগে।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
সামিয়া : হ্যাঁ, ঘোরাঘুরির প্রতি আমার প্রচণ্ড ঝোঁক রয়েছে। আমি সময় পেলেই বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে ঘুরে বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, মানিক প্রধান ও কানিজ ফাতেমা দম্পতির মেঝো সন্তান সামিয়া ইসলাম। মানিক প্রধান একজন ব্যবসায়ী। তারা চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার আধারা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।