প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫২
দরিদ্র কৃষক বিল্লাল বেপারী হতভম্ব

চঁাদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দারিদ্র কৃষক মো. বিল্লাল বেপারী এলাকায় আগাম সবজি চাষী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিশ্রম করে মৌসুমি সবজির পাশাপাশি আগাম লাউ, লালশাক, পুঁইশাক ও কলাইশাক চাষ করে আসছিলেন। এসব ফসল বিক্রি করে তিনি পরিবার চালাতেন এবং কিছুটা সচ্ছলতাও ফিরেছিলো তার জীবনে। কিন্তু চলতি বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের অকালবৃষ্টি তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। টানা বৃষ্টির পানিতে জমি প্লাবিত হয়ে যায় এবং তার আগাম সবজির ক্ষেত একেবারে নষ্ট হয়ে পড়ে। মাঠজুড়ে নষ্ট হয়ে যায় লাউ, লালশাক, পুঁইশাক ও কলাইশাক। ফলে নতুন করে আবার বীজ বপন করতে বাধ্য হন তিনি। এতে সময়, পরিশ্রম ও অতিরিক্ত খরচÑসবই বেড়ে গেছে।
এ অবস্থায় পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন এই পরিশ্রমী কৃষক। আগাম সবজি বিক্রির আশায় যে অর্থনৈতিক ভরসা ছিলো, সেটি ভেঙ্গে পড়ায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন বিল্লাল বেপারী।
তিনি বলেন, “আগে আগাম সবজি বিক্রি করে সংসার ভালোভাবে চলত। এবারের বৃষ্টি সব শেষ করে দিলো। এখন নতুন করে বীজ বুনেছি, আল্লাহ ভরসা।
কাশিম বাজারের কঁাচা তরকারি ব্যবসায়ী মো. আল-আমিন বেপারী জানান, বিল্লাল বেপারী হলেন, যে কোনো সবজির আগাম সবজি চাষী। আমি তার থেকে কিনে সবজি বিক্রি করি। কিন্তু এবার আগাম সবজি হয়নি। অতি বৃষ্টির কারণে তার সবজি চাষ ব্যাহত হয়েছে।
তরপুরচণ্ডী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পারভিন আক্তার জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক আগাম সবজি চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের পাশে দঁাড়াতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিল্লাল বেপারীকে সবজি চাষের জন্য বীজ ও সার আমরাই উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দিয়েছি। তবে আবহাওয়ার কারণে তার সবজি জমি নষ্ট হয়েছে। তবে তিনি থেমে নেই। তিনি সবসময় বিষমুক্ত সবজি চাষ করেন।








