রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৮

লতা আলু বিলীন হলেও ধরে রেখেছেন মিছির আলী ছৈয়াল

কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক
লতা আলু বিলীন হলেও ধরে রেখেছেন মিছির আলী ছৈয়াল

চঁাদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নের পরিশ্রমী কৃষক মিছির আলী ছৈয়াল (৭০) এমন এক ফসল চাষ করে আলোচনায় এসেছেন, যা এখন বিলীনপ্রায়, সেটি হলো লতা আলু। একসময় গ্রামীণ চাষাবাদে এ আলুর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিলো। কিন্তু আধুনিক জাতের আলু আসার পর ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় এই দেশীয় লতা আলু। তবুও হার মানেননি মিছির আলী ছৈয়াল। তিনি আজও তার মাঠে এই পুরানো জাতের আলু চাষ করে যাচ্ছেন ভালোবাসা ও ঐতিহ্যের টানে।

মিছির আলী জানান, ছোটবেলায় তিনি তার বাবাকে লতা আলু চাষ করতে দেখেছেন। সেই থেকেই এই ফসলের প্রতি তার আলাদা ভালোবাসা। তিনি বলেন, “এটা শুধু ফসল না, এটা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। এখন সবাই হাইব্রিড আলু করে, কিন্তু লতা আলুর স্বাদ একেবারেই আলাদা।”

তিনি আরও জানান, লতা আলুর ফলন তুলনামূলক কম হলেও এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং স্বাদেও অতুলনীয়। স্থানীয় বাজারেও এর চাহিদা ধীরে ধীরে আবার বাড়ছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশীয় জাতের ফসল সংরক্ষণ ও চাষাবাদ কৃষি বৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিছির আলী ছৈয়ালের মতো কৃষকরাই সেই ঐতিহ্য ধরে রাখছেন।

তরপুরচণ্ডী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পারভিন আক্তার বলেন, “দেশীয় জাতের এই লতা আলু এখন দুর্লভ হয়ে গেছে। মিছির আলী ছৈয়ালের মতো কৃষকেরা চাষাবাদে উৎসাহী হলে আমরা এই জাতের সংরক্ষণে সহায়তা করবো।”

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়