প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮
দেবদাস কর্মকারের কবিতা

এই মেঘছায়া ছুঁয়ে
সকাল থেকে রাত অব্দি চলতে চলতে ভাবি
চারদিকে শুধু অনাঙ্ক্ষিত ভুলের মুখ
প্রতি মুহূর্তে হাসে কাঁদে নানান ভাবে রঙ বদলায়
আমার মনের শূন্যতা আর ভরে উঠে না।বুকের ভেতরে আছে একটি ছোট্ট ধবল নদী
সেখানে কতো শত স্বপ্ন ডোবে আর ভাসে
কেউ জানে না কী যে তার উথালপাথাল ঢেউ
তীরে দাঁড়িয়ে দেখি, বাঁক পেরিয়ে মেঘের পাহাড়
সেই মেঘের গায়ে ধোঁয়া হয়ে আছে তার নিটোল মুখ
নিতান্ত সাদাসিধে গরীমাহীন বাঙালি নারী
মগ্ন মনে সোনালী রোদের পাশে স্থির হয়ে থাকে।হঠাৎ হাওয়া উঠে, অখণ্ড নীরবতা ভেঙ্গে মেঘ যায় সরে
বালি হাঁসের ডানা আকাশকোণায় উড়ে যায় ধীরে
অনির্বচনীয় নিস্তব্ধতায় ডুবে যায় চারদিক
তার মুখ অপূর্ব সংরাগে রং বদলায়,
ক্রমশ ঘনিয়ে আসে বৃষ্টির পরিতৃপ্ত আদর
এই বিকেলে ক্ষণকাল মাথা নিচু করে ভাবি
এই জগৎ সংসার জুড়ে যখোন ভুলের মুখ
সব বদলের কালে আমার মনের শূন্যতা ভরে না আর
যখোন দেখি এই মেঘছায়া ছুঁয়ে তুমিও চলে যাও বদলের দেশে।২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকা, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, শরতকাল ।
বেড়ে উঠে জেনে গেছি
ঠোঁটের কিনারে কখনো কতো কথা জাগে
নিবিড় বাতাসে মোহময় স্বরে কখনো বা অনুরাগে
বলা কি যায় সব কথা পৃথিবীর এই বিব্রত পরিসরে
ইন্দ্রধনু নয় অদৃশ্য ঘাতক লুকিয়ে যেন অন্ধ অবসরে।মনের ভেতরও কতো অম্লান কথা জেগে রয়
হৃদয় অরণ্যে তা কেবলই হয়ে যায় যেন ক্ষয়
তবুও নীলিমা সিঁড়ির পাশে কী যেন কী ভাসে
সবুজ শুশ্রূষা চুপে ছড়ানো ছন্দিত যতো ঘাসে ।বেড়ে উঠে জেনে গেছি যা কিছু দেখি সব নয় ঠিক
জলের গভীরে বনের আড়ালে আরও আছে অনধিক
পথ ভাঙ্গা যতো বিদ্রোহ রূঢ় কণ্ঠের দুর্বার বিপ্লব
সময়ের স্রোত জেগে উঠে মুছে ফেলে যেনো সব।মনের কিনারে ভাসে কতো কথা ঠোঁটের কিনারে যায়
ফুরালে হৃদয় সব ভালোবাসা কে বা নেয় তার দায়,
শরৎ আকাশে কী সুন্দর ভাসে অপরূপ তুলো মেঘ
উপদ্রুত ভূমে তবু আসে মনে প্রশান্ত কোনো বেগ।১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকা, ৪ আশ্বিন ১৪৩২, শরৎকাল।