প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫
হাঁস পালনে ইলিয়াসের স্বনির্ভর হবার গল্প শুরু

দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্যের দেখা পেতে চলছে উদ্যোক্তা ইলিয়াস হোসাইন । সংসার সামলে বাড়তি আয়ের আশায় স্ত্রীসহ হাঁস পালনে উদ্বুদ্ধ হন। তাদের সফলতা দেখে অনেকে হাঁস পালন করে আয় করছেন।
মো. ইলিয়াস হোসাইন আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ গুনরাজদী শাখায় অফিস সহকারী ও আল-আমিন এতিমখানায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি তার দায়িত্বের পেশাগত পাশাপাশি হাঁস-মুরগিও পালন করেন এবং এ থেকেই স্বনির্ভর হওয়ার গল্প শুরু করতে চাচ্ছেন।
ক্ষুদ্র পরিসরে একটি খামারে ১০ থেকে ১৫টি হাঁস পালন করে আসছেন ইলিয়াস। তার এই সফলতা দেখে অনেকেই হাঁস পালনে উৎসাহী হচ্ছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর গুনরাজদী গ্রামে আল-আমিন এতিমখানা কমপ্লেক্স চাকুরি করেন ইলিয়াস । হাঁসের প্যাকপ্যাক শব্দে এখন মুখরিত এতিমখানা কমপ্লেক্স । তার খামারে ১৫টি চীনা জাতের হাঁস রয়েছে।
ইলিয়াসের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার স্ত্রী এগিয়ে এসেছেন। স্বামীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে মাঝেমধ্যে তার হাঁসের খামার দেখাশোনাও করেন তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মো. মফিজুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এমন ২৬টি হাঁসের খামার রয়েছে। স্বামী-সংসারের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ক্ষুদ্র অর্থ সহায়তা নিয়ে এমন হাঁস পালনের খামার করে অনেকে এখন আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা এমন উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ ও সহযোগিতা করছি। এমন উদ্যোক্তাদের সাফল্য দেখে এখন অনেকেই অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন হাঁসের খামার করার।