প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২
ভুল হলে দুর্গ ভেঙ্গে যায়
ভুল হলে দুর্গ ভেঙ্গে যায় দেবদাস কর্মকার
জীবনের সরুপথ পাড়ি দিতে কত হয় ভুল
নিরালা মনের কোণে নিমিষে শব্দের ঝড়
দুহাত বাড়িয়ে বলি বন্ধু একটুকু ক্ষমা করো
মাথার উপরে উড়ে যায় সব অবসাদ
জীবন মুদ্রায় কতো আছে দোষ
জানি ভুলগুলো ঢেকে দিলে দুর্গ ভেঙ্গে যায়
অকুণ্ঠ চিত্ত আমার,
যদি বিষাদে ভরে থাকে তোমার চটুল নিঃশ্বাস
সবটুকু অভিমান মুছে ফেলে গেঁথে নাও আলোর পালক
কতোকাল পরে ফিরে এলে তবু হলো না কথা তোমার আমার
অভিমান জানি হবে আমি দাঁড়িয়ে সবার পুরোভাগে
চিৎকার করে বলি এই দুর্গ ভেঙ্গে গেলে
আমি নীল আকাশ হয়ে যাবো
বুকের বোতাম খুলে যদি বলি হে সুকণ্ঠ প্রিয়
এই দেশজুড়ে বড়ো দুরূহ দুর্দিন
তোমার শিরা গ্রন্থি থেকে থেমে যাক ক্ষণ ক্রন্দন
মায়া মৌনতায় যদি ডুবি
শুনি যেন ওই সোনা রাঙা সুর
হাওয়ায় উড়ে যাক সব মনে ডোবা কথা
দুর্গের কাছে থাক শীতভেজা নদী
তোমার মুখাবয়ব সেই ফুলের গড়ন।৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা, ১৬ মাঘ ১৪৪১
মন কখনো দেবদাস কর্মকার
মন কখনো পড়ে থাকে আমার কাছে
সঘন কোনো সন্ধ্যাবেলা চাইলে ছুটি সে চলে যায় অনেক দূরে
মিথ্যাটাকে শতেক দ্বিধায় জড়িয়ে ধরি হঠাৎ একা
ছলাৎ ছলাৎ জেগে ওঠে যাদুকরি স্বপ্ন নদী
নীল নীলিমায় মেঘ উড়ে যায় মাথার উপর
চারিদিকে মুখোশমালা মানুষ চিনি কেমন করে ।আড়াল বাঁকে হারানো দিন মনের মধ্যে ফিরিয়ে আনি
অবাক লাগে জন্ম জীবন হারিয়ে গেল এইতো বুঝি
বিন্দু বিন্দু জীবন যাপন সারিবদ্ধ হাজার পাঁকে
তাকিয়ে দেখি ধানের ক্ষেতে বাতাস দোলে কেমন স্বাধীন
সুগন্ধি ঠোঁট সুগন্ধি ফুল উদ্বেলিত কি হিল্লোলে
জলের মধ্যে হারিয়ে যা যায় ফেরে না আর কোনোদিনও
মন গেলে তো দূরের বাঁকে কাছে আমার থাকে বা
কি?
অন্তঃসলিল কোথায় যেন বোঝাপড়া নিজেই করি
বুকের ভেতরে সহস্র ক্ষত পুষ্প ফোটাই নতুন করে
হয়ত এবার চাই যে ছুটি আকাশ ভরা নীলের কাছে
একটু স্বাধীন নিজের করে চায় যা মানুষ এ সংসারে
প্রজাপতির বর্ণমাখা তৃণভূমি নীলাম্বরীর একটু ছোঁয়া
দিনের শেষে সবটুকুই বুকের বাণী আড়াল করে পড়ে থাকে পথের বাঁকে
জীবন জুড়ে কতকিছুই প্রতিধ্বনি হঠাৎ আলো
শাশ্বতী পাঠ তৃপ্তি গুলি সব পরিচয় হয় অবসান
ডুবিয়ে দিয়ে মুখের কথা অন্ধকারে অন্তবিহীন মনের কাছে।২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা, ৯ মাঘ, ১৪৩১ শীতকাল