প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:০৪
বই আমাদের ভালো বন্ধু
বই আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমরা অবসর সময় কাটানোর জন্য বইকে বেছে নিতে পারি। বই একাধারে আমাদের অবসরের বন্ধু, জ্ঞান অর্জন এবং বিনোদনের ও মাধ্যম। আমাদের সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা অনেক ধরনের জ্ঞান পেয়ে থাকি। যেমন : ইতিহাসবিষয়ক, অনুপ্রেরণামূলক, ভ্রমণবৃত্তান্ত ইত্যাদি।
ইতিহাসবিষয়ক বইগুলো আমাদের বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে জ্ঞান দিয়ে থাকে। একেক একটি দেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা লাভ, শাসনব্যবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে জানায়। এছাড়া সেই দেশের সামাজিক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য এবং সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানের ব্যাখ্যা দেয়। তাই ইতিহাসবিষয়ক বই আমাদের পড়া উচিত। যেমন : বিভিন্ন বিপ্লব নিয়ে লেখা বইগুলো অনেক তথ্যবহুল হয়ে থাকে।
অনুপ্রেরণামূলক বইগুলো আমাদের জীবনযাপনে বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা যোগায়। যেমন : সমরেশ মজুমদার-এর লেখা ‘সাতকাহন’ বইটি, নারী চরিত্রকেন্দ্রিক একটি বই। যেখানে একজন নারীর জীবনযাপন, লড়াইয়ের কথা বলা আছে। এছাড়া কল্লোল লাহিড়ীর ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ বইটিও অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের একটি উদাহরণ।
ভ্রমণবৃত্তান্ত নিয়ে লেখা বইগুলো আমাদের পৃথিবীর ঐতিহাসিক স্থানগুলো উন্মোচন, সংরক্ষণ এবং এর ইতিহাস নিয়ে জানায়। একেক সময়ের একেক ঐতিহ্যও এই বইগুলোতে উল্লেখ থাকে। এছাড়া নানা ধরনের উপন্যাস আমাদের বিনোদনে সাহায্য করে থাকে।
আমাদের সব ধরনের বই পড়া উচিত। এতে করে আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। অবসরে সময় কাটানো হয় ভালো কিছুর মাধ্যমে। আমাদের জ্ঞান ও অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা ভালো-মন্দ বিচার করতে শিখি, প্রতিবাদ শিখি, ভালোবাসা শিখি, ভালো আচরণ শিখি।
বই আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমাদের সামাজিকতা শেখায় বই, আমাদের ভালো-মন্দ বিচার করা শেখায় বই। বই থেকে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আমরা জীবনে উন্নতি করতে পারি, প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারি, সমাজের ভালো-মন্দ বিচার করতে পারি, সমাজ গড়ার প্রত্যয় পেয়ে থাকি। তাই আমাদের সবার উচিত বই পড়াকে শুধু পড়া হিসেবে না নিয়ে গুরুত্ব সহকারে বই থেকে শেখা সব ধরনের জ্ঞানকে বাস্তবায়ন করা। আমাদের সামাজিক জীবনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই আমাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে থাকে।