রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮

প্রধানিয়া এগ্রো প্রজেক্ট

চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষ

কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক
চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষ

আঙ্গুর বিদেশি ফল হলেও জনপ্রিয় ফলটি প্রথমবারের মতো চাষে সফল হয়েছেন চাঁদপুরের উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান প্রধানিয়া। বাণিজ্যিকভাবে ফলনের লক্ষ্যে এ উদ্যোক্তা এরই মধ্যে ২০ শতক জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করেছেন। তার সংগ্রহে এখন পর্যন্ত ১৮ দেশের ৮৫ টি জাতের আঙ্গুর গাছ রয়েছে। প্রধানীয়া এগ্রো প্রজেক্ট-১-এ ৪৪ টা জাতের ১২০ টি মাতৃগাছ রয়েছে, বাকি প্রজেক্ট-২ ও প্রজেক্ট-৩-এ রয়েছে আরো ৪১ জাতের ১০০+ মাতৃগাছ। সব মিলিয়ে মাতৃ গাছের সংখ্যা ২২০/২৫০ টির মতো। এ বছর ১০ হাজার চারা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

জানা যায়, চাঁদপুরের মাটিতে আঙ্গুর চাষ করে সফল হওয়া সম্ভব। এর মধ্যে জেলা সদর আঙ্গুর চাষের জন্যে বিশেষভাবে উপযোগী বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। সদর উপজেলার চাঁদপুর-মতলব সড়কের পাশেই দেখা মিলছে ভিনদেশি এই রসালো ফলের। থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুর। ক্ষেতের বাঁশের মাচায় ঝুলে থাকা সবুজ আঙ্গুর দূর থেকে পথচারীদের নজর কাড়ছে।

বাংলাদেশে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আঙ্গুর গাছ ছাঁটাই করলে মার্চ-এপ্রিলে ফল পাওয়া যায়। এরপর শীতের সময়ে ফলন আসে। সাধারণত আঙ্গুর চাষের জন্যে এমন জায়গা দরকার, যেখানে পরিমিত বৃষ্টি হবে কিন্তু মাটিতে পানি জমে থাকবে না। আবহাওয়া হতে হবে শুষ্ক ও উষ্ণ।

আঙ্গুর পাকার সময় বৃষ্টি হলে আঙ্গুরের গুণাগুণসহ আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। পাখি যাতে খেয়ে ফেলতে না পারে সেজন্যে সতর্ক থাকতে হয়। পরিমিত সার ও যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে একটি আঙ্গুর গাছই বছরের পর বছর ফলন দিতে পারে। জেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষের খবর শুনে ভিড় করছেন অনেকেই। বেকারত্ব দূর করতে এ ফল চাষাবাদে তরুণদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন

উদ্যোক্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রধানিয়া। তিনি বলেন, ২০২১ সালে করোনা কমতে শুরু করলে আঙ্গুর চাষ নিয়ে কাজ শুরু করি। আমার প্রজেক্টটি ৬ মাস আগে পুরোপুরি শুরু করেছি। প্রথমে ছাদ বাগান থেকে কিছু জাত নিয়ে চাষ শুরু করি। ২০২৩ সাল থেকে ফলনে বেশ ভালো ফলাফল পাই।

এই উদ্যোক্তা বলেন, বাগানে ৪৪টি জাতের মধ্যে ১২০টি মাতৃগাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। কিছু গাছে ফল শোভা পাচ্ছে। এখানে ৬ মাস যাবত পরিচর্যা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। গ্রিন লং, একেলো, বাইকো নুর, লোরাস, ভেলেজ, ডিকসন, সুপার নোভা, নারু সিডলেস জাতের আঙ্গুর চাষ করা হচ্ছে।

দর্শনার্থী মোঃ তানভীর হোসেন ও আমির হোসেন সরকার বলেন, চাঁদপুরে আঙ্গুরের বড়ো বাগান আর নেই। তাই বাগানটি দেখতে এসেছি। আমরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছি, যাতে বাগান করতে পারি। যদিও আমরা আঙ্গিনা এবং ছাদে চারা রোপণ করে সফলতা পাইনি। এখানকার দৃশ্য দেখে আবারও উৎসাহ পাচ্ছি। তার কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ এবং আঙ্গুরের চারা নিচ্ছি।

কল্যাণপুর ও আশিকাটি ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা সাদিকা বেগম বলেন, দোআঁশযুক্ত লালমাটি, জৈব সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটি এবং পাহাড়ের পাললিক মাটিতে আঙ্গুর চাষ ভালো হয়। জমি অবশ্যই উঁচু হতে হবে। যেখানে পানি দাঁড়িয়ে থাকবে না। প্রচুর সূর্যের আলো পড়বে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সাইফুল হাসান আল-আমিন বলেন, চাঁদপুরে আগে আঙ্গুর চাষ হতো না। যেগুলো হতো, তা পরীক্ষামূলক। এবার জেলায় প্রথমবারের মতো মিষ্টি আঙ্গুর চাষ শুরু করেছেন কামরুজ্জামান। তার আঙ্গুর চাষের বিষয়টি আমরা অবগত আছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়