শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫৮

সোরিয়াসিস হলে কী করবেন?

হাকীম মো. মিজানুর রহমান
সোরিয়াসিস হলে কী করবেন?

সোরিয়াসিস। এটা এক ধরনের চর্মরোগ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই গুরুতর চর্মরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে ত্বকে লালচে ছোপ পড়ে ও আক্রান্ত স্থানের ত্বকের চামড়া সাদা হয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। সোরিয়াসিসে ভুগছেন এমন প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মানুষের মাথার ত্বকে এ সমস্যা দেখা গেছে। এছাড়া কপাল, কানের পেছনে এমনকি ঘাড়ের পেছনেও হয় সোরিয়াসিস। সোরিয়াসিস কাদের হয়?

এই রোগটি মোটেও ছোঁয়াচে নয় যে, একজনের শরীর থেকে অন্যজনে ছড়াবে। সোরিয়াসের জন্য দায়ী পারিবারিক এক জিন। পরিবারে অন্তত একজনেরও যদি সোরিয়াসিস থাকে তাহলে অন্যদের হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। মাথার ত্বকে সোরিয়াসিস হলে কী করবেন?

মাথার ত্বকের কোষগুলো বৃদ্ধি পাওয়ায় সোরিয়ার হলে ত্বকে অনেকটা পুরু হয়ে যায়। অনেকটা খুশকির মতো দেখায়। খুশকি মোমযুক্ত বা চর্বিযুক্ত হতে পারে, আর সোরিয়াসিস দেখতে চকচকে ও শুষ্ক। স্যালিসিলিক অ্যাসিড আছে এমন শ্যাম্পুগুলো ভালো কাজ করে সোরিয়াসিসের চিকিৎসায়।

সোরিয়াসিসের চুলকানি বন্ধ করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার বা এমনকি পেট্রোলিয়াম জেলির মতো ভারি মলম এক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডা পানি বা ঠাণ্ডা প্যাকও আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে।

আপেল সিডার ভিনেগারও এ সমস্যায় স্বস্তি দেয়। এজন্য সপ্তাহে কয়েকবার আপনার মাথার ত্বকে সামান্য পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে আক্রান্ত স্থানে ক্ষত থাকলে এটি ব্যবহার করবেন না।

চা গাছের তেল হলো সোরিয়াসের আরেকটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। এই তেল মাথার ত্বকে মেখে পরে শ্যাম্পু করে নিন। এতে কোনো অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া আছে কি না তা জানতে আগে প্যাচ টেস্ট করুন।

সোরিয়াসিসের চুলকানি সারাতে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ব্যবহার করুন। যখন চুলকানি তীব্র হয়, তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (বিশেষত সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিউপটেক ইনহিবিটরস, বা এসএসআরআই) ও গ্যাবাপেন্টিনের মতো স্নায়বিক ব্যথার ওষুধসহ অন্যান্য বিকল্প অনুসরণ করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

ছবি : ২৫

প্রতিদিন চিনি খেলে শরীরের কী ক্ষতি হয়

কমবেশি হলেও চিনি ছাড়া সম্পূর্ণ ডায়েট আমরা ভাবতেও পারি না। কিন্তু আধুনিক প্রজন্মের স্বাস্থ্য সচেতনরা চিনি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। পুষ্টিবিদের মতে, চিনি না খেলে তাজা শাকসবজি, ফল, দানাশস্য খেলে সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

চিনিতে ক্যালোরি বেশি কিন্তু পুষ্টিমূল্য কম। চিনি বাদ দিলে ওভারঅল ক্যালোরি ইনটেক কমবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। বেশি চিনি খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। হাই ব্লাড প্রেশার, ইনফ্লেম্যাশন, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে শরীরে। চিনি না খেলে এই জটিল অসুখগুলোর আশঙ্কা কমে।

দাঁতেরও যথেষ্ট ক্ষতি করে চিনি। দেখা দেয় ক্যাভিটি। চিনি বাদ দিলে বা কম খেলে দাঁত ভালো থাকবে।

চিনি খেলে দ্রুত এনার্জি বাড়ে। কিন্তু দ্রুত সেই এনার্জি কমেও যায়। তাই এনার্জি বা প্রাণচাঞ্চল্যে স্টেবিলিটি রাখতে চিনির বদলে খান বিকল্প খাবার।

টাইপ টু ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমিয়ে দেয় চিনি কম খাওয়ার অভ্যাস। মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতার জন্যেও চিনি কম খেতে হবে।

চিনি ডায়েট থেকে বাদ দিলে উজ্জ্বল থাকবে ত্বক। দূর হবে বদহজমের সমস্যাও।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়