শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৫৫

টিকটকে অন্ধকার পদযাত্রা

রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ
টিকটকে অন্ধকার পদযাত্রা

মানুষ স্বভাবতই নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে চায়। মানুষ নিজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে। যেসব মানুষ বলে ‘প্রশংসা আমার ভালো লাগে না’ তাকেও প্রশংসা করলে তিনি খুশি হন। আগে এসব প্রশংসার জন্যে মানুষ সামাজিক অনুষ্ঠান করতো। অথবা যাদের উচ্চাভিলাষ ছিল কিংবা রাজনৈতিকভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তারা সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হতেন। কেউ কেউ আবার আর্টিকেল/কলাম লিখে নিজের মেধার স্বাক্ষর রাখতেন।

নিজেকে ফুটিয়ে তোলার কাজটি মানুষের কাছে সহজ হয়ে যায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালুর মাধ্যমে। তবে দিনে দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর সামাজিক থাকেনি। অনেক অসামাজিক কাজের মাধ্যম হয়ে উঠে সেসব প্ল্যাটফর্ম। এর মধ্যে টিকটক অন্যতম।

টিকটক মূলত চীনের আবিষ্কার। চীনে এর নাম দৌয়িন। ঝাং ইয়েমি ২০১৬ সালে টিকটক চালু করেন। বর্তমানে এটি এশিয়ার নেতৃস্থানীয় ছোট ভিডিওর প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় সঙ্গীত ভিডিওর সম্প্রদায় হিসেবে এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অ্যাপটি ২০১৮ সালের জুন মাসে ১৫০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলকে (৫০০ মিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী) পৌঁছেছে এবং ২০১৮ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ্লিকেশন ছিল, আনুমানিক ৪৫.৮ মিলিয়ন ডাউনলোড হয়।

নাচ, কৌতুক এবং শিক্ষার মতো বিষয়ে ৩ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়সীমার বিভিন্ন ধরনের ছোট ভিডিও তৈরি করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। সব ঠিকই ছিল। তবে সমস্যা শুরু হয় যখন টিকটক দিয়ে উপার্জন করা শুরু হয়। উপার্জন করতে হলে দরকার প্রচুর ভিউ। ভিউ পেতে এক নোংরা খেলায় মেতেছে এর ব্যবহারকারীরা। ভালো কন্টেট নেই, বিষয়টি তেমন নয়। তবে মানুষের মনোযোগ পেতে এমন কিছু কন্টেট আপলোড করা হচ্ছে, যা পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে আর দেখা যায় না।

টিকটকের বেশিরভাগ ব্যবহারকারী তরুণ বয়সের। তরুণ বয়সে মানুষ এক ধরনের আবেগের মধ্যে চলে। সেই আবেগের কারণে ভুল পথে পা দেয়াটা আস্বাভাবিক কোনও ব্যাপার নয়। মূলতঃ বাস্তবেও ঘটছেও তাই। টিকটক একটি মোবাইল অ্যাপস হলেও এর নেতিবাচক দিক অনেক বেশি। তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের বাস্তবতা থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে টিকটক। শুধু তা-ই নয়, তাদের মধ্যে উগ্রতা, অশালীনতা, অশ্লীলতা, কল্পনাপ্রবণতার মতো বিভিন্ন জটিল মানসিক রোগ তৈরি করছে। যারা ক্রমাগত এই অ্যাপস ব্যবহার করে তাদের মধ্যে বিশেষ মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। অতিরিক্ত টিকটকের ব্যবহারের ফলে মানসিক ভারসাম্যহীনতা, বাস্তবতার প্রতি বিমুখতা, মনস্তাত্ত্বিক অবক্ষয় ও চারিত্রিক অবনতির মতো ভয়ানক জটিল মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে।

টিকটক অ্যাপসের ব্যবহারের কারণে এমন কিছু নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ভিডিও আপলোডকারীকে জীবনের ইতি টানতে হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে আপলোডকারী বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতীয় এক যুবক মেয়েদের পোশাক পরে মেয়েদের রূপে অভিনয় করে ভিডিও আপলোড করে। সাধারণ মানুষজন ছেলেটিকে মেয়েরূপে দেখে তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মজা করতে থাকে। সবার মজা এমন একটি পর্যায় চলে যায়, যা ছেলেটি শেষ পর্যন্ত না নিতে পেরে আত্মহত্যার পথে চলে যায়। ইয়েঙ্ক নামে চায়নার লাইভ স্ট্রিমিং গার্ল তার সুরেলা কণ্ঠে লাইভ গান গেয়ে টিকটকে ভিডিও বানিয়েছিল এবং লাখো মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল। যখন ইয়েঙ্কে চায়নার জাতীয় সংগীত একটু ভিন্নভাবে গেয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করে, সেটি চায়নার মানুষ খুবই অপছন্দ করে এবং তাকে জাতীয় সংগীতের অবমাননার দায়ে পাঁচ দিন জেল খাটতে হয়েছিল। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের চিফ মিনিস্টার নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি ছেলে টিকটকের ভিডিও প্রদান করে। সেই ভিডিওটির এডিটিং দেখে মনে হয়েছিল চিফ মিনিস্টার কিছুটা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আছেন, কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই নয়। এই ভিডিওতে চিফ মিনিস্টারের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্যে বিভিন্ন ধারায় ছেলেটাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। চায়নায় মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির লোগো খুলে ফেলার ট্রেন্ড তৈরি হয়েছিল টিকটকের মাধ্যমে। এসব ভিডিও দেখে অনেকে অন্যের গাড়ির লোগো চুরি করা শুরু করেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হুয়োং নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসব উদাহরণের মাধ্যমে টিকটকের ভয়াবহতা আন্দাজ করা যায়। সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা করার আগে ভেবে নিতে হবে সবকিছুর একটি পরিসীমা রয়েছে। সীমা ছাড়িয়ে কোনো কিছু করলে তা সব সময় অকল্যাণ বয়ে আনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা কিছুই প্রকাশ করা হয় না কেন তা ডিলিট করে দিলেও পৃথিবীর কোথাও না কোথাও সেটা থেকে যায়। পৃথিবীর কোনো না কোনো প্রান্তে কেউ না কেউ ওকে ডাউনলোড করে রাখতে পারে এবং সময়মতো ব্যবহার করতে পারে। তাই এ ধরনের মানসিক ব্যাধি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

নিজে সুখে থাকা, পরিবারকে সুখে রাখা আসল ব্যাপার। তখন সামাজিক সুখ আপনা-আপনি সামনে চলে আসে। সেই সুখ হয় চিরস্থায়ী। যে সুখের সাথে অন্যকিছুর তুলনা চলে না। আমরা ডিভাইস থেকে যতটা দূরে থাকতে পারব, সুখ তত আমাদের কাছে সহজলভ্য হবে। পরিবারের সাথে মেশার আনন্দ-ই হোক আমাদের প্রকৃত আনন্দ। সে আনন্দের রেশ বহমান থাকুক আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তথ্যসূত্র : গুগল ও উইকিপিডিয়া।

লেখক পরিচিতি : রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, গণমাধ্যম কর্মী।

ছবি-০২

রীল-টিকটক অশ্লীলতায় ধ্বংসের পথে প্রজন্ম

তথ্য-প্রযুক্তি কণ্ঠ প্রতিবেদক ॥ তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক বেকার মানুষও আয় করছেন। আজকাল এই আয় করতে গিয়ে কিছু কিছু মানুষ অশ্লীলতার দিকে ঝুঁকিছেন। এটা আমাদের প্রজন্মের জন্যে এক অশনিসংকেত।

ফেসবুক তথা মেটার নতুন প্রযুক্তি রীল। টিকটকের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে ফেসবুক রীল নিয়ে এসেছে। এতে কয়েক মিনিটের ভিডিও আপলোড করা যায়, যার সাথে বাছাইকৃত কিছু মিউজিক সংযোগ করা যায়। প্রায় টিকটকের মতো এ প্রযুক্তি শুরুতে মানুষ এড়িয়ে গেলেও বর্তমানে এখানে বেশ বাজার বসেছে। এই বাজারে কিছু উঠতি বয়সের তরুণ তরুণী এমন কিছু রীল বানাচ্ছে, যা সাধারণ রুচিসম্পন্ন মানুষের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো মনে হচ্ছে।

বলা নাই, কওয়া নাই হঠাৎ করেই এটা আপনার সামনে হাজির হচ্ছে। আপনি ওই ফেইসবুক একাউন্টের সাথে সংযোগ না থাকলেও এটা অযাচিতভাবে আপনার সামনে হাজির হবে। এতে মানুষের সামনে আপনাকে বিব্রত হতে হবে। যদিও কিছু রুচিহীন মানুষ এগুলো পছন্দ করেন। কিন্তু এসব অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির রীল ও টিকটক আমাদের তরুণ সমাজকে এক রুচিহীন অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। যা অন্যদেরকে এসব পাপাচারে উৎসাহিত করছে।

আমরা এসব অশ্লীল রীলের বিরুদ্ধে কমেন্ট বা রিপোর্ট জানাতে পারি। রিপোর্ট জানিয়ে এসবকে অকার্যকর করে দিতে পারি, এটাই আমাদের বিবেকের দাবি। তাহলে আমরা অন্তত আমাদের বিবেককে সান্ত্বনা দিতে পারবে যে, আমরা অন্তত একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।

বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বিতর্কে থাকেন না, বিতর্ক তৈরিও করেন না। তিনি সংস্কৃতি চর্চার মানুষ, সেটা নিয়েই নিজে এবং পরিবারকে ব্যস্ত রাখেন। সহজে কোনো মতামত বা কোনো বিষয়ে কথা বলতে তাঁকে দেখা যায় না। তবে এবার লিখলেন। কারো নাম করে নয়, ভিন্ন এ বিষয়ে। শেখার আছে, কোড আনকোড আমরা সেভাবেই তুলে দিচ্ছি।

“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ঘাড়ে চেপে যখন অবাধে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকে, তখন আমরা অধিকাংশ মানুষই শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করি।

এটি এখন আমাদের ব্রেইনের ওপর বিষফোঁড়াসম সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আমরা বাক স্বাধীনতার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলি, অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষ স্বেচ্ছাচারীর মত যা খুশি করছে, যা ইচ্ছে বলছে। প্রশ্নটা এখানেই, আধুনিকতা আর সম অধিকারের ঝাণ্ডা তুলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনি কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অপব্যবহার করছেন না?

আপনার অরক্ষিত এই কার্যকলাপে, সমাজ বা নতুন প্রজন্ম কতটুকু প্রভাবিত হচ্ছে, সেটুকু ভাবার অবকাশ কি আপনার আছে? আপনি কি সত্যিই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক কিছু করছেন? ছোটবেলায় পড়তাম বিজ্ঞান “আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?” বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যের সঠিক ব্যবহারই হয়তো জাতির জন্য ভালো ভূমিকা রাখতে পারতো, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো রাখেও।

কঠিন সত্য এটাই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে যতটা না সামাজিক কর্মক্ষেত্র, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ব্যক্তিগত বাণিজ্যক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ফেসবুকে “জঊঊখ” নামক একটি বিষয় আছে। এখানে অধিকাংশই যে কতটা অশ্লীল, ভাবতেও অবাক লাগে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব অশ্লীলতার বিরুদ্ধাচরণ করি। সেন্সরবিহীন এসকল অশ্লীল কার্যকলাপ কে বন্ধ করবে?

এখানে রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের বা আইন শৃংখলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা কি আমরা আশা করতে পারি না? সেই সাথে আপনার বা আমার অসচেতনতা অথবা সমর্থনের ভেতর দিয়ে তথাকথিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জন্ম নিচ্ছে বিতর্কিত কিছু ভাইরাল ব্যক্তি। সে যখন আপনার কাছে পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব দাবি করবেন, আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন? পারবেন না। কারণ আপনার বালখিল্য আচরণ, উদাসীনতা আর সস্তা বিনোদনপ্রিয়তায় আপনি সেই সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

আপনার অরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারই এর জন্যে দায়ী। আপনি কি আপনার সন্তানের কথা ভাবেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেন? যদি করেন, তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারেও আপনাকেও অনেক দায়িত্বশীল হতে হবে। তথাকথিত কিছু অসৎ রাজনীতিবিদদের কারণে যেমন রাজনীতি কলুষিত, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার বা আমার সমর্থনে গজিয়ে ওঠা ভাইরাল ব্যক্তিদের কারণে সংস্কৃতি কলুষিত হচ্ছে। এর জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়, দায়ী আপনি বা আমি, দায়ী আমাদের নিম্ন মানসিকতা।

আপনি কাকে অনুসরণ করবেন বা সমর্থন দেবেন বা কে হবে এই দেশে আপনার রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক আদর্শ, চূড়ান্ত ভাবনার এই সময়টুকুও বোধ করি পেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো অবজ্ঞা করার মত হলেও, আমাদের সন্তানেরা ভবিষ্যতে অনুসরণ বা শ্রদ্ধা করার মত কাউকে পাবে না, পরিচিত হতে হবে আপনার রুচিতে জন্ম দেয়া কোনো ভাইরাল বিনোদন ব্যক্তির উত্তরসূরি হিসেবে। কারণ আপনি বা আমি ঠিক বেঠিক বা উচিত অনুচিতের পার্থক্য ভুলে সস্তা বিনোদনপ্রিয় জাতিতে পরিণত হয়ে গেছি।

বুঝতে পারছেন কি সামনে কতটা অন্ধকার? চুপ করে থাকা রাজনীতিক, সংস্কৃতিবান এবং রুচিশীলদেরকে বলছি, প্রস্তুত থাকুন, আপনাকে যেকোনো উপায়ে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামানো হবে, তাই এখনো সময় আছে মুখ খুলুন, প্রতিবাদ করুন। এই ব্যর্থতা প্রথমত রাষ্ট্রের, দ্বিতীয়ত তথাকথিত সংস্কৃতি কর্মীদের, যাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিলো জাতিকে সঠিক পথ দেখানো, সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া।”

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়