প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৫০
লতা মঙ্গেশকরের পর চলে গেলেন বাপ্পি লাহিড়িও
গত ১০ দিনের মধ্যে তিন ভারতীয় কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যু হলো। ৬ ফেব্রুয়ারি লতা মঙ্গেশকর ও ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চিরবিদায়ের পর একইদিন রাতে না ফেরার দেশ পাড়ি জমালেন ভারতের প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি।
|আরো খবর
মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গত । গত বছরের এপ্রিল মাসে করোনা ধরা পড়লে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ)’-তে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় একমাস তিনি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার বাড়ি ফেরার পরদিন মঙ্গলবারই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারিক চিকিৎসক তাকে ফের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেই হাসপাতালেই মারা যান।
বাপ্পি লাহিড়ি ১৯৭০ থেকে ৮০ পর্যন্ত হিন্দি সিনেমার জগতের জনপ্রিয় নাম । হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালোবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে তিনি সুর দিয়েছেন। শুধু সুরারোপ নয়, একাধিক গান গেয়েছেনও। ২০২০ সালে তার শেষ গান ‘বাগি- ৩’।
উপমহাদেশের অমর শিল্পী কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’জনেই ছিলেন সঙ্গীত জগতের মানুষ। ওই সঙ্গীত পরিবারের একমাত্র সন্তান বাপ্পি। ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকর্ষণ ছিল। প্রথম গানের তালিম পান মা-বাবার কাছেই। তারাই নাম দিয়েছিলেন অলোকেশ, কিন্তু জনপ্রিয়তা পান বাপ্পি নামে।
বাপ্পি লাহিড়ি ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন । তার পর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি ছবির গান গেয়েছেন। সুর দিয়েছেন। একসময় রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছিলেন শিল্পী। বিজেপিতে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতিতে কখনোই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি গুনী এই সুরসম্রাট।