বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৫২

পাস্ট রোটারী ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর

প্রফেসর ড. তৈয়ব চৌধুরী চট্টগ্রামস্থ পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য

স্টাফ রিপোর্টার॥
প্রফেসর ড. তৈয়ব চৌধুরী চট্টগ্রামস্থ পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন ও চাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরীকে চট্টগ্রামস্থ সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ হবে ৪ বছর।

রোববার (১৬ নভেম্বর ২০২৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদালয়-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের আদেশক্রমে সহকারী সচিব মো. শাহ আলম সিরাজ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষর করেন।

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম জেলা রাউজান উপজেলার সুলতানপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা জমিদার শাহ আহমেদ চৌধুরী এবং বাবা ইয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী ছিলেন ব্যবসায়ী। ১৯৬০ সালে তাঁরা রাঙ্গামাটিতে কাঠ এবং নির্মাণ ব্যবসা শুরু করেন। বাবার ব্যবসার সুবাদে তিনি রাঙ্গামাটিতে বাল্যকাল অতিবাহিত করেন।

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী রাঙ্গামাটি থেকে এসএসসি ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে অনার্স এবং মাস্টার্স পাস করেন। তিনি ‘গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট’ বিষয়ে বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয়বারের মতো মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

প্রফেসর তৈয়ব চৌধুরী ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম ডাউনটাউন রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের চার্টার মেম্বার হিসেবে রোটারী আন্দোলনে যুক্ত হন। পরে ১৯৯২-৯৩ সালে সেক্রেটারী এবং ১৯৯৩-৯৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭-৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশের রোটারী জেলার ডিআরআর (জেলা রোটার‌্যাক্ট প্রতিনিধি) নির্বাচিত হন এবং সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে চট্টগ্রাম সাগরিকা রোটারী ক্লাবের চার্টার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে রোটারী জেলার বিভিন্ন পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অ্যাসিটেন্ট গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, জোনাল কো-অর্ডিনেটর, অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারীসহ রোটারী ডিস্ট্রিক্টের বিভিন্ন পদে কাজ করেন। ২০১৭-১৮ রোটারী বর্ষে তিনি ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রোটারী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ও প্রেসিডেন্সিয়াল কনফারেন্সসহ বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দিতে ইউএসএ, কানাডা, জাপান ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ সফর করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন একাডেমিক সেমিনার ও কনফারেন্সে কাগজপত্র উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া তাঁর বহু গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাময়িকী ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

রোটারী আন্দোলনের পাশপাশি রোটারিয়ান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি (বিএনএসবি), ফ্যামিলি প্লানিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং রাঙ্গামাটি রাইফেলস ক্লাবের আজীবন সদস্য তিনি। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম ক্লাবের সদস্য, রাঙ্গামাটি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য।

রোটা. প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরীর স্ত্রী ফারজানা হক (রূপসা) অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করে বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি প্রথম শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে কর্মরত আছেন। তাঁদের এক মেয়ে রুইদা বিনতে চৌধুরী ও এক ছেলে মোহাম্মদ তাজবিক চৌধুরী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়