প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৪
স্থবির প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা
তিন দফা দাবিতে চাঁদপুরেও প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

দশম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবিতে চাঁদপুরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় দিনের মতো কর্ম বিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
|আরো খবর
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে এলেও নিচ্ছেন না ক্লাস। ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও হৈ-হুল্লোড় করে সময় পার করছে। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা জানান, কেন্দ্রের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ২নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, এটা তাদের মর্যাদার প্রশ্ন। আমরা দাবি করতেই পারি, তাই বলে আমাদের নির্যাতন করা কোনো মতে কাম্য নয়। কবে সমাধান আসবে সেই প্রতীক্ষায় রয়েছেন বলে জানান তারা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। কর্মবিরতির কারণে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। কিন্তু সহকারী শিক্ষকরা এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন।
অন্যদিকে সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, দাবিগুলো পূরণ না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো অগ্রগতি না হলে তারা পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।







